ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কিংবদন্তি নক্ষত্র হয়ে বেঁচে থাকবেন রশিদ খান
প্রতিভার কি মৃত্যু হয়। বোধহয় হয়না। রক্তমাংসের মানুষটা চলে যান। থেকে যায় তাঁর সৃষ্টি, তাঁর কীর্তি। এভাবেই চিরকাল বেঁচে থাকবেন উস্তাদ রশিদ খান।
না ফেরার দেশে চলে গেলেন উস্তাদ রশিদ খান। জন্ম উত্তরপ্রদেশে হলেও তিনি ১১ বছর বয়সে বাংলায় চলে আসেন। তারপর থেকে এখানেই থেকে গিয়েছেন আজীবন। ফলে তিনি ছিলেন বাংলার ছেলে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতের যে হাতেগোনা উজ্জ্বল প্রতিভারা রয়েছেন তার একজন ছিলেন উস্তাদ রশিদ খান।
যিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন। আবার বলিউডেও গান গেয়েছেন। সেই কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী ৫৫ বছর বয়সে চলে গেলেন এই পৃথিবী ছেড়ে।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ নিয়ে ভর্তি ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনেও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে চারটেয় প্রয়াত হন রশিদ খান। ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের জগত তাঁকে চিরকাল মনে রাখবে। চিরকাল তিনি বেঁচে থাকবেন শ্রোতাদের হৃদয়ে।
এদিন তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান রশিদ খান ছিলেন তাঁর ভাইয়ের মত। তাঁর প্রয়াণে তিনি মর্মাহত।
এদিন রাতে রশিদ খানের দেহ পিস হাভেনে শায়িত রাখা হবে। বুধবার সকালে নিয়ে আসা হবে রবীন্দ্র সদনে। রবীন্দ্র সদনে তাঁর ভক্তরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন।
১টার পর পুলিশের তরফ থেকে গান স্যালুট দেওয়ার পর রশিদ খানের দেহ তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে টালিগঞ্জ কবরে চিরশায়িত হবে উস্তাদ রশিদ খানের দেহ।