পুজোর মাঝেই দুঃসংবাদ, প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পপতি রতন টাটা
ভারতীয় শিল্প মানচিত্রের এক নক্ষত্র পতন। চলে গেলেন রতন টাটা। ভারতীয় শিল্পপতিদের কথা বললেই যাঁর নাম বিশ্বজুড়ে সম্ভ্রমের সঙ্গে নেওয়া হত।
প্রয়াত শিল্পপতি রতন টাটা। প্রয়াণকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত সোমবার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রতন টাটা লিখেছিলেন কোনও জল্পনা নয়, তিনি ভর্তি হয়েছেন রুটিন পরীক্ষার জন্য।
যদিও তারপর রতন টাটার অবস্থার অবনতি হয়। আইসিইউ-তে সংকটজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ভারতীয় শিল্পের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র খসে পড়ল দুর্গাপুজোর মধ্যেই।
রতন টাটার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও ব্যবসা জগতের কুশীলবরা।
২০০০ সালে রতন টাটাকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে তাঁকে পদ্মবিভূষণ সম্মান প্রদান করা হয়েছিল। রতন টাটা যে কেবল টাটা গোষ্ঠীর গৌরব অক্ষুণ্ণ রেখে সংস্থাকে আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে টেনে নিয়ে যান তাই নয়, তাঁর প্রতিভার জোরে তিনি টাটা গোষ্ঠীকে আরও প্রসারিত করেন।
জামশেদজি টাটার সুযোগ্য উত্তরসূরি রতন টাটা ১৯৯৬ সালে তৈরি করেন টাটা টেলিসার্ভিসেস। ২০০৪ সালে তৈরি করেন টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস।
পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরের কারখানাকে সামনে রেখে রতন টাটা সাধারণ দেশবাসীকে ব্যক্তিগত গাড়ির শখ পূরণ করার পথ দেখিয়েছিলেন টাটা ন্যানো দিয়ে। ১ লক্ষ টাকায় টাটা ন্যানো গাড়ি রতন টাটার স্বপ্নের প্রকল্প হয়ে উঠেছিল। পরে সিঙ্গুরে বাধা পেয়ে ন্যানো কারখানা তিনি গুজরাটের সানন্দ-এ তুলে নিয়ে যান। সেখানেই ন্যানো তৈরি শুরু হয়।
রতন টাটা কেবল ভারতের অন্যতম সুযোগ্য শিল্পপতিই নন, তিনি পশুদের সুরক্ষা নিয়েও সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তাঁর প্রয়াণ ভারতীয় শিল্প জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি।