প্রেম করেছিলেন, শুধু বিয়েটা হয়নি, কেন সে কাহিনি জানিয়েছিলেন রতন টাটা
আজীবন অবিবাহিত কিংবদন্তি শিল্পপতি রতন টাটার জীবনেও প্রেম এসেছিল। বিয়েটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু বিয়েটা হয়নি। কেন হয়নি সে কাহিনিও চমক দেওয়ার মত।
ভারতের এক বরেণ্য শিল্পপতি রতন টাটা চলে গেলেন। একটা যুগের সমাপ্তি ঘটল। আর্থিক দম্ভে মুকেশ আম্বানি বা গৌতম আদানি ছিলেননা। কিন্তু ছিলেন এক মহান মানুষ। যে মানুষটি একাধারে ছিলেন শিল্পপতি, নতুন পথের দিশারি, সমাজসেবক এবং পশুপ্রেমী।
আজীবন ছিলেন অবিবাহিত। জীবনটা উৎসর্গ করেছিলেন নিজের সংস্থা টাটাকে, নিজের কাজকে। তা বলে এই নয় যে তাঁর জীবন ছিল প্রেম শূন্য! রতন টাটাও প্রেমে পড়েছিলেন। এতটাই ভালবেসে ফেলেছিলেন সেই নারীকে যে তাঁকে বিয়েটা ছিল সময়ের অপেক্ষা।
তখন তিনি মধ্য ২০-র যুবক। ঝকঝকে চেহারা, প্রতিভাবান স্থপতি। স্থাপত্যশিল্প নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে লস অ্যাঞ্জেলসে তিনি তখন একটি সংস্থায় চাকরিতে ঢুকেছেন।
সেই সময় এক বিদেশিনীর প্রেমে পড়েছিলেন রতন টাটা। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নিজের একদম ব্যক্তিগত জীবনের সেই কাহিনি লিখেছিলেন রতন টাটা।
ভালবাসা এতটাই গভীর ছিল যে বিয়েটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। সময়টা তখন ১৯৬২ সাল। এদিকে এমন পরিস্থিতি যে রতন টাটার পক্ষে তখন আর বিদেশে চাকরি করা সম্ভব ছিলনা। তাঁকে বাড়ি ফিরতেই হত।
তিনি তখন ওই মেমসাহেবকে বিয়ে করতে চান। কিন্তু ১৯৬২ সালে ভারত পাক যুদ্ধ রতন টাটার জীবনের অন্যতম সুন্দর মুহুর্তটা তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিল।
যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ওই নারীর পরিবার তাঁর বিয়ে করে ভারতে আসাটা মেনে নিতে পারেনি। পরিবারের অমতে সেই প্রেম অপূর্ণই থেকে যায়। রতন টাটাকে সব ফেলে চলে আসতে হয় ভারতে।
তারপর আর কখনও বিয়ের রাস্তায় হাঁটেননি এই প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন কাজের মধ্যে। টাটা সংস্থার উন্নতিই ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যানজ্ঞান। আজীবন অবিবাহিত থেকেই ৮৬ বছর বয়সে দুর্গাপুজোর মাঝেই ঝরে গেল ভারতীয় শিল্প মানচিত্রের অন্যতম উজ্জ্বল তারকা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা