State

জমজমাট রথবাড়ির রথযাত্রা

মধ্যমগ্রামের রথবাড়ি। এখানেই পালিত হয় জগন্নাথদেবের পুজো ও সোজা রথ। রথবাড়ির সামনেই একটা ছোট প্যান্ডেল করে সাজানো হয় রথ। এটিতে চড়েই জগন্নাথদেব বিকেলে এলাকা পরিভ্রমণে বার হন। একটা সরু গলির মত প্রবেশ পথ দিয়ে বাড়ির ভেতরে যেতে চোখে পড়ে মূল বাড়ি থেকে একটু দূরে, বলা যায় উঠোনের মধ্যে ছোট একটা ঘর। এটাই মন্দির। এখানেই থাকেন শ্রীজগন্নাথ, বলরাম আর সুভদ্রা। মূর্তির বৈশিষ্ট্য বলতে চোখে পড়ে জগন্নাথ, বলরামের তুলনায় সুভদ্রার মূর্তিটি বেশ ছোট। ফুল দিয়ে সাজানোর পর প্রায় চোখেই পড়ে না তাঁর মূর্তি। খানিকটা যেন কষ্ট করেই খুঁজে বার করতে হয় সুভদ্রাকে। রথের দিন বাড়িতে চলে নামসঙ্কীর্তন। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ শুরু হয় পুজো তথা সোজা রথের অনুষ্ঠান।

রথের দিন সকাল থেকেই ফুল দিয়ে সাজানো হয় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মূর্তি। সোনার গয়নাও পড়ানো হয় তাঁদের। কাটা ফল আর বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি দিয়ে পুজো দেওয়া হয় দেবতার উদ্দেশ্যে। পুরো পুজোর তত্ত্বাবধানে থাকেন রথবাড়ির বউ-মেয়েরা। তাঁরাই পুজোর কাজ সারেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে বাড়ে ভক্ত সমাগম। সবাই পুজো দিতে আসেন। বাড়িতে আসেন আত্মীয় স্বজনরাও। বাড়ির সদস্য যাঁরা বাইরে থাকেন তাঁরাও রথ উপলক্ষে ঘরমুখো হন। সব মিলিয়ে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে রথবাড়ি। বিকেলে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা পর্যন্ত টানা হয় রথ। তারপর ঠাকুর ফিরে আসেন মন্দিরে। এরপর উল্টোরথের অপেক্ষা। — প্রতিবেদক – প্রিয়া মুখোপাধ্যায়



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button