সোজা রথের পর উল্টোরথ পালন করতে প্রস্তুত মধ্যমগ্রামের রথবাড়ি। ১৯৫২ সাল থেকে শুরু হয় এ বাড়িতে রথ। প্রথম থেকেই এ বাড়িতে উল্টোরথের রমরমা সোজা রথের চেয়েও বেশি। বাড়ির লোকজন থেকে আত্মীয় স্বজন, এমনকি উল্টোরথে পাড়া প্রতিবেশিদের মধ্যেও রথবাড়ির রথ ঘিরে উন্মাদনা চরমে ওঠে। সকাল থেকেই শুরু হয় যায় পুজোর তোড়জোড়। চলে রান্নাবান্না। সঙ্গে হৈ হুল্লোড় তো আছেই।
রথবাড়িতে রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয় দেবতার ভোগ তৈরি। রীতি মেনে লুচি, পায়েস, খিচুড়ি ইত্যাদি নানা ধরনের ভোগ দেওয়া হয়। এদিন ঠাকুরকে সুন্দর করে সাজানো হয়। পালা কীর্তন হয়। পুজো শেষে শুরু হয় ভোগ বিতরণ। রথবাড়ির ভোগ খাওয়া এই অঞ্চলের মানুষের কাছে এক পরম প্রাপ্তি। উল্টোরথের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই ভোগ বিতরণ। এদিন কেবল নিমন্ত্রিত নয়, যারা ঠাকুর দেখতে আসেন সবাইকে ভোগ খাওয়ানো হয়। এটাই এ বাড়ির রীতি।
সাধারণত রাজ্য জুড়েই যেসব পরিবারে রথের প্রচলন আছে, যেখানে রথ বার হয়, সেসব পরিবারে সোজা রথেই ধুমধাম নজরকাড়ে। কিন্তু উল্টোরথে এমন জাঁকজমক কিন্তু মধ্যমগ্রামের রথবাড়ির পুজোকে এক অন্য পরিচিতি দিয়েছে। — প্রতিবেদক – প্রিয়া মুখোপাধ্যায়