পুরীর পাশাপাশি এদিন সকাল থেকে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও রথযাত্রার আয়োজন শুরু হয় ধুমধামের সঙ্গেই। শ্রীরামপুরে মাহেশের ৬২০ বছরের পুরনো রথযাত্রা দেখতে সেখানেও সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হন সেখানে। বসে মেলাও। মহিষাদলের প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো রথযাত্রা উপলক্ষে সেখানেও মানুষের ঢল নামে সকাল থেকেই। একই অবস্থা মায়াপুরেও।
রথের দিন মানেই বৃষ্টি। এমন একটা প্রচলিত কথা আছে। এদিন সকালের আকাশে চোখ রেখেও তেমনই ইঙ্গিত প্রকট। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। ঝিরঝির করে বৃষ্টিও হয়েছে কোথাও কোথাও। কলকাতাতেও ইস্কনের মন্দিরে ভোর থেকেই শুরু হয় তোড়জোড়। কলকাতার রাস্তায় ইস্কনের রথ অবশ্যই রথের দিনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
কলকাতার অনেক বাড়ি থেকেও রথ বার হয়। রথ উপলক্ষে সেসব বাড়িতেও আত্মীয় পরিজনের সমাগম। সন্ধ্যে নামতেই তিনতলা, চারতলা সেসব রথ নগর পরিক্রমায় বার হয়। আর রয়েছে কচিকাঁচাদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ। নতুন রথ কিনে বা গতবারের কেনা রথের ধুলো ঝেড়ে নামিয়ে সকাল থেকেই তারা লেগে পড়ে নিজের মত করে বাহারি পাতা, রজনীগন্ধার স্টিক আর ফুল দিয়ে রথ সাজাতে। রথ সাজাতে হাত লাগিয়েছেন বাড়ির বড়রাও। সব মিলিয়ে বেশ একটা ছুটির মেজাজে সকাল থেকেই শহর জুড়ে রথের আনন্দে মাতোয়ারা বাংলার শহর থেকে গ্রাম।