কার্ফুর মধ্যে ভক্ত ছাড়াই পুরীতে হল উল্টোরথ
প্রশাসনের তরফে রথের দিন যেমন কার্ফু জারি ছিল পুরীতে, তেমনই হল উল্টোরথেও। জগন্নাথদেব ফিরলেন ভক্ত সমাগম ছাড়াই।
পুরী : ৯ দিন পর গুন্ডিচা মন্দির থেকে বুধবার বার হলেন প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। এক এক করে সব নিয়ম মেনে তোলা হয় তাঁদের রথে। তারপর এক এক করে রথ যাত্রা শুরু করে পুরীর গ্র্যান্ড রোড হয়ে জগন্নাথ মন্দিরের দিকে। প্রথমে যাত্রা করে বলরামের রথ তালধ্বজ। তারপর সুভদ্রার রথ দর্পদলন এবং সব শেষে যাত্রা শুরু করে জগন্নাথদেবের রথ নন্দীঘোষ। কেবলমাত্র পুরীর সেবায়েতরাই রথ টেনে নিয়ে আসেন।
পুরীতে এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই ছিল কার্ফু। পুরীর বাসিন্দাদেরও বাড়ি থেকে বার হওয়া মানা ছিল। হোটেল থেকে কারও বার হওয়া মানা ছিল। সমুদ্র শহর পুরী ছিল সুনসান। কেবল ব্যস্ততা ছিল গ্র্যান্ড রোডে। গুন্ডিচা মন্দির থেকে জগন্নাথদেবকে সাড়ম্বরে কাঁসর, ঘণ্টা, শঙ্খধ্বনির মধ্যেই পুরো পথ নিয়ে আসা হয়। ছিলনা শুধু ভক্তের ঢল। ফাঁকা রাস্তা ধরেই ৩টি রথ ফেরে দ্বাদশ শতাব্দীর জগন্নাথ মন্দিরে।
উল্টোরথকে পুরীতে বলা হয় বহুড়া যাত্রা। এই বহুড়া যাত্রা শান্তিতেই সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছে শহরের পুলিশ প্রশাসন। এদিনও বহুড়া যাত্রা উপলক্ষে শহর জুড়ে পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতন। যাতে কেউ গ্র্যান্ড রোড পর্যন্ত পৌঁছে যেতে না পারেন সে ব্যবস্থা পাকা করা হয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে। তবে ভক্তের ঢল না থাকলেও সনাতনি নিয়মে কোনও ত্রুটি হয়নি। সব নিয়ম মেনেই জগন্নাথদেব ফেরেন নিজের মন্দিরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা