Mythology

রথযাত্রা উৎসবের আগে রথ নির্মাণের কথা

রথ নির্মাণের জন্য প্রতিটা দিন নির্দিষ্ট করা আছে। সেই নিয়মনীতির বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। আছে নির্দিষ্ট সূত্রধর, চিত্রকর, শিল্পী ও কারিগর।

রথযাত্রা উৎসবের আগে রথ নির্মাণের কথা। নীলাচলে রথ নির্মাণের জন্য প্রতিটা দিন নির্দিষ্ট করা আছে। সেই নিয়ম নীতির বাইরে এক পা-ও যাওয়ার উপায় নেই। অজ্ঞাত কোনও কালে মহারাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রতিবছর তিনটি রথ নতুন করে নির্মাণ ও সমস্ত যাত্রা বা উৎসবের যে প্রবর্তন করেছিলেন, পান থেকে চুন না খসিয়ে ধারাবাহিকভাবে সমস্ত বিষয়গুলি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে আজও।

প্রতিবছর রথ নির্মাণের কাঠ সংগ্রহ শুরু হয় মাঘমাসের বসন্ত পঞ্চমী থেকে। কাঠ আনা হয় দশপল্লা জেলার রণপুর জঙ্গল থেকে। প্রথমে রথের জন্য কাঠ দিতেন রণপুরের মহারাজা। পরবর্তীকালে জামাতৃসূত্রে সেই কাঠের স্বত্ব নিয়ে কাঠের জোগান দিতেন দশপল্লার রাজা। বর্তমানে গড়জাত-রাজ্য ওড়িশার অন্তর্গত হওয়ায় রথের কাঠ সরবরাহ করে থাকে ওড়িশা সরকার।


Ratha Yatra

তিনটি রথেরই প্রতিবার বৈশাখমাসের শুক্লা তৃতীয়া অর্থাৎ অক্ষয়তৃতীয়ার পুণ্য তিথিতে শুরু হয় নতুন করে নির্মাণের কাজ। শেষ হয় নেত্রোৎসব তথা জগন্নাথ বিগ্রহের চক্ষুদান বা চক্ষু অঙ্কনের দিন।


Ratha Yatra

জগন্নাথ মন্দিরের সামনে পূর্বদিকে রয়েছে অরুণ স্তম্ভ। এখান থেকে গুণ্ডিচা মন্দির পর্যন্ত বিস্তৃত রাজপথের নাম ‘বড়দাণ্ড’। এরই একপাশে নির্মাণ করা হয় তিনটি রথ।

রথের নির্দিষ্ট সূত্রধর, চিত্রকর অন্যান্য আরও শিল্পী ও কারিগর। তাদের প্রত্যেকের জন্য দেয়া আছে প্রচুর আয়ের সম্পত্তি। তারা তাদের সুনির্দিষ্ট কাজগুলি ঠিক ঠিক সম্পাদিত করে থাকেন যথা সময়ে এসে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button