সলমনের হাত ধরে পর্দায় পদার্পণ, এর আগে ৫টি সিনেমা ফিরিয়ে দেন রবিনা
সিনেমায় সুযোগ পাওয়াটাই একটা লড়াই। তাই সিনেমায় সুযোগ পেলে তা লুফে নেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা। সেখানে এই অভিনেত্রী ৫টি সিনেমায় না করার পর তাঁর ডেবিউ সিনেমা করেন।
সিনেমায় সুযোগ পাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে, একে ওকে ধরে, অডিশনের পর অডিশন দিয়েও হাজার হাজার তরুণী ভগ্ন হৃদয়ে সিনেমায় একটা সুযোগের আশা ত্যাগ করেন। কেউ যদি একটা সুযোগ পান তাহলে তা কার্যত তাঁর ভাগ্য খুলে যাওয়া বলে মনে করেন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান।
সেখানে প্রথমবার সিনেমার পর্দায় নায়িকা হিসাবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ পেয়েও যে কোনও তরুণী তা নাকচ করার সাহস দেখাতে পারেন তা এই বিখ্যাত বলি তারকার কথা না শুনলে বিশ্বাস করা কঠিন হত।
সাধারণত নায়িকা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর অনেক সময় অনেক নায়িকা গল্প পছন্দ না হলে বা তাঁর চরিত্র পছন্দ না হলে বা অন্য কোনও কারণে ছবির ডাক পেয়েও না করে দেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠা দূরে থাক, প্রথম সুযোগকে ৫ বার না করার সাহস দেখানো সত্যিই দুঃসাহস।
রবিনা ট্যান্ডন জানিয়েছেন, তিনি কিন্তু সেটাই করেছিলেন। রবিনা ডেবিউ করেন ১৯৯১ সালে। সলমন খানের বিপরীতে। সিনেমার নাম ছিল ‘পাত্থর কে ফুল’।
কিন্তু এই সিনেমার আগেই তিনি ৫টি সিনেমার অফার পেয়েছিলেন। তার যে কোনও একটা সিনেমা তাঁর ডেবিউ সিনেমা হতে পারত। কিন্তু ৫টি সিনেমার অফারই না করে দেন রবিনা।
অবশেষে ৬ নম্বর সিনেমায় হ্যাঁ করে দেন। তিনি সেই সুযোগ পাওয়ার পর তাঁর কলেজ ক্যান্টিনে বন্ধুদের গিয়ে চমকে দিয়েছিলেন রবিনা। ক্যান্টিনে পৌঁছে বন্ধুদের জানান তিনি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছেন।
রবিনা সকলকে আন্দাজ করতে বলেন তাঁর নায়কের নাম। কেউ বলতে পারেননি। রবিনা এরপর সলমন খান বলতেই সকলে আনন্দে চিৎকার করে ওঠেন।
প্রসঙ্গত ডেবিউ সিনেমা ছাড়াও রবিনা ট্যান্ডন সলমন খানের সঙ্গে ‘আন্দাজ আপনা আপনা’, ‘কঁহি পেয়ার না হো জায়ে’ সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা