এবার ৭৫টি দুর্গাপুজো সুযোগ পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনায় শুরু হওয়া পুজোর কার্নিভালে। তৃতীয় বছরে এবার যেন আরও ঝলমলে পুরো আয়োজন। ঠিক বিকেল সাড়ে ৪টেয় শুরু হয় শোভাযাত্রা। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংস্কৃতি জগতের বহু বিশিষ্ট জন। বিদেশি অতিথিরা। সব মিলিয়ে ঝলমলে বিকেলে শোভাযাত্রা শুরু হয় শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো দিয়ে। শোভাযাত্রার শুরুতেই ছিলেন এই পুজোর উদ্যোক্তা বিধায়ক সুজিত বসু। সঙ্গে ঢাক কাঁধে দেখা মেলে বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী অভিজিতের। ঘুমর নাচের তালে এগোয় শ্রীভূমির প্রতিমা। ২ নম্বরে ছিল একডালিয়া এভারগ্রীন। যা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো বলে খ্যাত।
এরপর একের পর এক বারোয়ারি তাদের শোভাযাত্রা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। কেউ গানের তালে পরিবেশন করেছে নাচ, কেউ কবিতার ছন্দে কোরিওগ্রাফি। যত সময় এগিয়েছে রেড রোডে সন্ধে নেমেছে। চারপাশের রঙিন আলো আরও উজ্জ্বল হয়েছে। আর সেই সঙ্গে জমে উঠেছে কার্নিভাল। কার্নিভালের শোভাযাত্রা শেষে একের পর এক প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে বাবুঘাটে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন পুরো সময়েই ছিলেন খুশিতে ভরপুর। যা তাঁর মুখের হাসি বারবার বুঝিয়ে দিয়েছে। খুশি হয়েছেন। আনন্দ পেয়েছেন। কচিকাঁচাদের ডেকে ডেকে তাদের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের কার্যত অন্তিম সন্ধেটায় বিষণ্ণতার মাঝেও এক অদ্ভুত আবেশে মনে দাগ কেটে শেষ করল পুজোর কার্নিভাল। আর যেন বলে গেল, আসছে বছর আবার হবে।