বাজেটে হতাশা। বাজারে ধস। তারপর রেপো রেট বাড়ালে আর দেখতে হতনা। তেমন আশঙ্কা যে ছিলনা তাও নয়। মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা যেভাবে বাড়ছে তাতে রেপো রেট বাড়লে অবাক হওয়ার কিছু ছিলনা। তবে সে রাস্তায় এখনই না হেঁটে বরং রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কী হবে তা ঠিক করার জন্য একটি ৬ সদস্যের অর্থ বিষয়ক নীতি নির্ধারক কমিটি রয়েছে। কমিটির সদস্যরাই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে বাজার, আর্থিক পরিস্থিতি সহ সবদিক বিচার করে ঋণনীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরাই এদিন সিদ্ধান্ত নেন রেপো রেট আগের ৬ শতাংশে এবং রিভার্স রেপো রেট আগের ৫.৭৫ শতাংশেই বহাল থাকবে। কোনও পরিবর্তন এবারের ঋণনীতিতে করা হবে না।
অন্তঃশুল্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। তেলের দাম হুহু করে বাড়ছে। অন্যদিকে আর্থিক ঘাটতি বৃদ্ধির আশঙ্কা। সব মিলিয়ে মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা মাথার ওপর নাচছে। এই অবস্থায় রেপো রেট আরও কমানোর প্রশ্নই উঠছে না। তবে বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের রাস্তায়ও হাঁটল না কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। বরং আপাতত দেশীয় অর্থনীতির গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখাতেই অধিক আগ্রহী রিজার্ভ ব্যাঙ্কর শীর্ষ আধিকারিকরা।