চিরাচরিত প্রথা মেনেই পালিত হল ৬৮ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। দিল্লি এদিন সকাল থেকেই ছিল ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা। সঙ্গে মাঝেমধ্যেই টিপটিপ বৃষ্টি। এরমধ্যেই সকাল হতেই ভিড় জমতে শুরু করে রাজপথের দুধারে। ছিল নিশ্ছিদ্র সুরক্ষা বলয়। মাছি গলার উপায় নেই। প্রতিটি ইঞ্চিতে অতন্দ্র নজরদারি। বেলা পৌনে দশটা নাগাদ সুসজ্জিত ইন্ডিয়া গেটের অমর জওয়ান জ্যোতিতে মাল্যদান করে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর সহ দেশের স্থল, বায়ু ও নৌ-সেনা প্রধানেরা। অন্যদিকে তখন রাইসিনা হিলস থেকে বার হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ৩ দিনের ভারত সফরে আসা আবু ধাবির রাজপুত্র মহম্মদ বিন জায়েদ আল নায়ান। প্রতি বছরই প্রজাতন্ত্র দিবসে বিদেশের কোনও রাষ্ট্রনায়ককে বিশেষ অতিথির মর্যাদা দিয়ে নিয়ে আসা হয়। এবারের বিশেষ অতিথি আবু ধাবির রাজপুত্র। রাজপথের অনুষ্ঠানমঞ্চের সামনে রাষ্ট্রপতি পৌঁছতেই তাঁকে অভিবাদন জানাতে নেমে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর কাশ্মীরের দুর্গম এলাকায় লুকিয়ে থাকা ৪ জঙ্গিকে খতম করে দেশ রক্ষায় অপার সাহসের পরিচয় দিয়ে মৃত্যু বরণ করা হাবিলদার হঙ্গপন দাদার স্ত্রীর হাতে অশোক চক্র সম্মান তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর শুরু হয় বহু প্রতীক্ষিত সেনা কুচকাওয়াজ। প্রথা মেনে দেশের প্রতিটি রাজ্য তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির পরিচয় দিয়ে রংবেরংয়ের ট্যাবলো নিয়ে হাজির হয় রাজপথের রাস্তায়। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের এবারের থিম ছিল ঢাকের তালে ধুনুচি নাচে দুর্গাপুজো। এরপর সেনার তরফে মোটর বাইকে চোখ ধাঁধানো ব্যাল্যান্সের খেলা দর্শকদের চমকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। মোটরবাইকের খেলা শেষ হতেই শুরু হয় রোদহীন মেঘলা আকাশে একে একে বায়ু সেনার বিমানের শক্তি প্রদর্শন। সবশেষে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি।
এদিন শুধু দিল্লি বলেই নয়, দেশের সব রাজ্যেই প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। কলকাতার রেড রোডেও যথাযোগ্য মর্যাদায় কুচকাওয়াজের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস।