চিরাচরিত প্রথা মেনেই পালিত হল ৬৯ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। দিল্লি এদিন ছিল ঘন কুয়াশায় মোড়া। এরমধ্যেই সকাল হতেই ভিড় জমতে শুরু করে রাজপথের দুধারে। ছিল নিশ্ছিদ্র সুরক্ষা বলয়। মাছি গলার উপায় নেই। প্রতিটি ইঞ্চিতে অতন্দ্র নজরদারি। সাড়ে নটা নাগাদ সুসজ্জিত ইন্ডিয়া গেটের অমর জওয়ান জ্যোতিতে মাল্যদান করে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছিলেন স্থল, বায়ু ও নৌসেনা প্রধানেরা। সেখান থেকে ইন্ডিয়া গেটের সামনে রাজপথের পাশে তৈরি সুসজ্জিত মঞ্চে সকাল ১০টার মধ্যেই হাজির হন প্রধানমন্ত্রী। এই বছর পূর্ণ হল ভারতের সঙ্গে আসিয়ান রাষ্ট্রগোষ্ঠীর ২৫ বছর। সেই উপলক্ষে এদিন আসিয়ান দেশগুলির রাষ্ট্রনেতারা ছিলেন প্রজাতন্ত্র দিবসের বিদেশি অতিথি। আন সান সুকি-র মত রাষ্ট্রনেতা সহ ১০টি দেশের রাষ্ট্রনেতা উপস্থিত হন একে একে। তাঁদের স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১০টা নাগাদ সেখানে হাজির হন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কোবিন্দ জায়া কিছুক্ষণ আগেই উপস্থিত হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতিকে এদিন স্বাগত জানিয়ে একসঙ্গেই মঞ্চে উপবিষ্ট হন তাঁরা।
চিরাচরিত রীতি মেনে প্রথমে অশোকচক্র প্রদান করা হয়। গৌড় কমান্ডার কর্পোরাল জ্যোতি প্রকাশ নিরালার স্ত্রীর হাতে অশোকচক্র তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। জঙ্গিদের সঙ্গে সাহসের সঙ্গে লড়াই করে শহিদ হন জ্যোতি প্রকাশ। দেশের জন্য তাঁর সেই লড়াইকেই এদিন অশোকচক্রের মাধ্যমে কুর্নিশ জানানো হল।
এরপর একে একে ভারতীয় যুদ্ধাস্ত্রের সম্ভার প্রথা মেনেই রাজপথ ধরে এগিয়ে যেতে থাকে। পরে আসে বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলো। ভারতীয় সংস্কৃতি, কৃষ্টি, কলা, নৃত্য, সঙ্গীত, প্রথা সবই ফুটে উঠেছে বিভিন্ন ট্যাবলোয়। রঙিন ভারতকে তুলে ধরতে হয় বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান। ছিল আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেখানকার সঙ্গীত নৃত্যের ফিউশন। সবমিলিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হল যথাযোগ্য মর্যাদায়। তবে একটা ফাঁক রয়েই গেল। এবার জায়গা পেল না পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো।
এদিন শুধু দিল্লি বলেই নয়, দেশের সব রাজ্যেই প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। কলকাতার রেড রোডেও যথাযোগ্য মর্যাদায় কুচকাওয়াজের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস।