প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে দিল্লির আকাশ ছিল ঝলমলে। রোদ ঝলমল দিনে মানুষের ঢল নেমেছিল রাজপথে। বেলা পৌনে ১০টা নাগাদ অমর জওয়ান জ্যোতিতে মাল্যার্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন সেনার কর্তারা। পরে মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি। এরপর জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে তোপ দেগে পারম্পরিক রীতি মেনেই শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। প্রথমেই অশোক চক্র প্রদান করা হয়। তারপর শুরু হয় কুচকাওয়াজ। একের পর এক রাইসিনা হিলসের কাছ থেকে এগিয়ে আসতে থাকে মিলিটারি ট্যাঙ্ক, প্যারেডরত সেনা ব্যাটালিয়ন, অশ্বশক্তিকে সামনে রেখে ভারতের একমাত্র ঘোড়সওয়ার বাহিনী, নানা ক্ষেপণাস্ত্র সহ প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে যুদ্ধে প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র।
প্রজাতন্ত্র দিবসের এক অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলো। এবার পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোতে উঠে এল স্বাধীনতা দিবসের সময়ে গান্ধীজির হিন্দু-মুসলমান হানাহানি বন্ধের জন্য অনশনের ছবি। ট্যাবলোর সামনে চেয়ারে বসে ছিলেন গান্ধীজি ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তারপরে সেই বাড়ি যেখানে গান্ধীজি অনশন করছেন। হিন্দু-মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে কোলাকুলি করছেন। পিছনে বেজে চলেছে যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।