৭১ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হল পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে দিল্লির আকাশ কিছুটা কুয়াশা ঢাকা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে রোদ ওঠে। রোদ ঝলমল দিনে মানুষের ঢল নেমেছিল রাজপথে। সকালে অমর জওয়ান জ্যোতিতে মাল্যার্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন সেনার কর্তারা। পরে মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি। এরপর জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে তোপ দেগে পারম্পরিক রীতি মেনেই শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। প্রথমেই অশোক চক্র প্রদান করা হয়। তারপর শুরু হয় কুচকাওয়াজ। একের পর এক রাইসিনা হিলসের কাছ থেকে এগিয়ে আসতে থাকে মিলিটারি ট্যাঙ্ক, প্যারেডরত সেনা ব্যাটালিয়ন, অশ্বশক্তিকে সামনে রেখে ভারতের একমাত্র ঘোড়সওয়ার বাহিনী, নানা ক্ষেপণাস্ত্র সহ প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে যুদ্ধে প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র।
প্রজাতন্ত্র দিবসের এক অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলো। এবার পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো জায়গা না পেলেও কলকাতা ছিল দিল্লির রাজপথে। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে এবার কলকাতা বন্দর, তার কর্মকাণ্ড ও হাওড়া ব্রিজ উঠে এল ট্যাবলোতে। বন্দরে শ্রমিকদের কাজ। মাল ওঠানামা। বিশাল জাহাজ। সবই উঠে এসেছে। বাড়তি পাওনা হিসাবেই ছিল কলকাতাকে চিনে নেওয়ার সবচেয়ে বড় চিহ্ন হাওড়া ব্রিজ।
কলকাতাতেও এদিন ইন্দিরা গান্ধী সরণীতে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি পতাকা উত্তোলন করেন। একের পর এক এগিয়ে আসে ভারতীয় প্রতিরক্ষার সমরাস্ত্র। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ উপস্থিত ছিলেন তাঁর মন্ত্রিসভার সব মন্ত্রী। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট ও এনসিসি ক্যাডেটরাও এই কুচকাওয়াজে অংশ নেন।