ভারতের বাতিল নোটের অবশেষে হিল্লে হল। দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনৈতিক ময়দান মাতাতে নতুন অবতারে তাদের হাজির করতে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকা হারানোর শোক যাঁরা এতদিনে কাটাতে পারেননি, কিছুদিন পর হারানো নোটকে চাক্ষুষ করার সুযোগ পাবেন তাঁরা। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এক বিতর্কিত দিন। কালো টাকা ও জাল নোটের রমরমা আটকাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নাড়িয়ে দিয়েছিল দেশবাসীকে। এরপর আসল হোক বা নকল, রাশি রাশি হতভাগ্য ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ঠাঁই হয় কালকুঠুরিতে। এত টাকার ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্তাব্যক্তিরা। বাতিল নোট ফেলা যাবেনা। আর আগুনে পোড়ালে তা থেকে দূষণ ছড়াবে। তাই সেই রাস্তাও বন্ধ। এমন সময় তাঁদের সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে আসে কেরালার ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া প্লাইউড নামে এক সংস্থা।
২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের প্রচারে লাগবে প্রচুর ব্যানার, হোর্ডিং। তার জন্য লাগবে প্রচুর কাঠ। দেশের বাতিল নোটগুলিকে গলিয়ে সেগুলিকে মণ্ডে পরিণত করা হবে। যা থেকে তৈরি করা হবে সমস্ত ব্যানার, হোর্ডিং। নোটবাতিলের কিছুদিন পরেই মাত্র ১২৮ টাকা প্রতি টনে আরবিআইয়ের কাছ থেকে ৭৫০ টন বাতিল নোটের বস্তা কিনে নেয় ওই সংস্থা। এখন শুধু দেখার অপেক্ষা, ভারতের টাকা দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনৈতিক দলগুলির কাছে কতটা লক্ষ্মীমন্ত হয়।