রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওপর চক্কর দিচ্ছে হেলিকপ্টার। সেই হেলিকপ্টার থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হল দড়ি। সেই দড়ি বেয়ে নেমে এলেন কমান্ডোরা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভবনের ছাদে নামলেন তাঁরা। রীতিমত হৈচৈ চলছে। চেষ্টা চলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি তলায় পণবন্দিদের উদ্ধার করতে হবে। ব্যপরাটা অত সহজ নয়। যে কোনও মুহুর্তে পণবন্দিদের হত্যা করতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা। গোটা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জুড়েই কমান্ডোদের তৎপরতা তুঙ্গে। সুরক্ষাকর্মীদের ছড়িয়ে দেওয়া হল পুরো বাড়িতে। কীভাবে তাঁরা লক্ষ্যপূরণ করবেন তার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
এসব দেখে শুনে আঁতকে উঠলেন পথচলতি মানুষজন। মোটামুটি বুঝতে পারলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কে কোনও সন্ত্রাসবাদী হানা হয়েছে। তারা ব্যাঙ্কের কোনও একটি তলায় বেশ কয়েকজনকে পণবন্দি বানিয়েছে। তাঁদের উদ্ধার করতেই কমান্ডোরা হাজির হয়েছেন। আবার মুম্বই হামলা? রীতিমত আতঙ্ক ছড়াল মুম্বইয়ের পথচলতি মানুষের মধ্যে। অনেকে চারপাশে ভিড় করে দাঁড়িয়ে পড়েন। অনেকে ভয়ে কিছুটা দূরে সরে যান। যেভাবে আকাশ থেকে হেলিকপ্টারে ঝুলে কমান্ডোরা নেমে আসছিলেন তা দেখে মনে হচ্ছিল হলিউডের সিনেমাও এর কাছে কিছু নয়!
ভুল ভাঙল অনেকটা পরে। যখন তাঁরা জানতে পারলেন এটা আসলে একটা ড্রিল বা নকল অভিযান। সত্যিই যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে তার কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা হাতেকলমে অনুশীলন করে নিচ্ছিলেন কমান্ডো ও সুরক্ষাকর্মীরা। তবে পুরো কাজটাই হয়েছে একেবারে পেশাদার ভঙ্গিতে। সত্যিই যেন পণবন্দি রয়েছে। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেই পুরো অপারেশন পরিচালনা করা হয়।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)