এই নিয়ে ৩ জন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শীর্ষস্তরের ৩ পদাধিকারী ইস্তফার রাস্তায় হাঁটলেন। তাঁর পুরো সময়কাল শেষ হওয়ার আগেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন রঘুরাম রাজন। রাজনের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদে আসীন হন উর্জিত প্যাটেল। তিনিও তাঁর সময়কাল শেষ হওয়ার আগেই ইস্তফা দেন। আর এবার ইস্তফা দিলেন আরবিআই-এর ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য। যিনি তাঁর সময়কাল শেষ হওয়ার ৬ মাস আগেই ইস্তফা দিলেন। বারবার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রেপো রেট হ্রাসের বিপক্ষে ছিলেন তিনি। সরকারের অর্থব্যয়ে সুবিধা করতে এবং বৃদ্ধির হারের শ্লথ গতিতে লাগাম দিতে এভাবে রাজকোষের শৃঙ্খলাভঙ্গ তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। অনেকের মতে, হয়তো সেই কারণেই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিলেন বিরল।
ইস্তফা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি বিরল আচার্য। বরং আরবিআই-কে দেওয়া ইস্তফাপত্রে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তবে ঠিক কী ব্যক্তিগত সমস্যা সে কথার উল্লেখ নেই। আগামী ২০২০ সালের শুরুতে বিরল আচার্য-র রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর পদে সময়কাল শেষ হচ্ছিল। তারপরই তাঁর নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে চলে যাওয়ার কথা। তা এগিয়ে এল। চিঠিতে বিরল পরিস্কার জানিয়েছেন আগামী ২৩ জুলাইয়ের পর তাঁর পক্ষে ওই পদে আসীন থাকা সম্ভব হচ্ছে না। জানা গেছে ২৩ জুলাইয়ের আগেই তিনি উড়ে যাবেন নিউ ইয়র্ক। সেখানে ২০২০-র বদলে এখন থেকেই অধ্যাপনার কাজ শুরু করবেন।
আরবিআই পরপর ৩ বার রেপো রেট হ্রাস করে সকলকে চমকে দিয়েছে। শেষ বার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে রেপো রেট দাঁড়ায় ৫.৭৫ শতাংশ। ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে কমানোয় হ্যাটট্রিক করে আরবিআই। এতেই নাকি আপত্তি ছিল বিরল আচার্যর। এদিকে বিরল আচার্য ইস্তফা দেওয়ায় এখন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর পদে রয়ে গেলেন ৩ জন। এনএস বিশ্বনাথন, বিপি কানুনগো এবং এমকে জৈন। এদিকে বিরলের ইস্তফা কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারকেও কিছুটা চাপে ফেলল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা