মধ্যবিত্তের চাপ বাড়ছে, বাড়তে পারে গাড়ি, বাড়ির ঋণের সুদ
মধ্যবিত্তের ওপর আরও চাপ বাড়তে চলেছে। গাড়ি বাড়ির ঋণের ওপর সুদের বোঝা আরও বাড়তে চলেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এদিনের সিদ্ধান্তে তাই সামনে এল।
মধ্যবিত্ত মানুষজনের চাহিদা খুব বেশি কোনও কালেই ছিলনা। নিজের একটা মাথা গোঁজার আশ্রয়। আর তারপর পারলে একটা চারচাকা গাড়ি। এর ঋণ মেটাতেই কর্মজীবনের অনেকটা কেটে যায় তাঁদের।
এদিকে ব্যাঙ্কগুলির এই গাড়ি বা বাড়ির ওপর ঋণদান করে মোটা টাকা রোজগার হয় সুদ থেকে। এবার তারা সেই সুদ বাড়াতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের ওপর চাপ বাড়ালে তারা যে সেই চাপ গ্রাহকদের ওপরই ফেলবে তা বলাই বাহুল্য।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এদিন রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম দিতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মানিটরি পলিসি কমিটি।
এর আগে ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এবার তা আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করল। ফলে এখন রেপো রেট দাঁড়াল ৪.৯০ শতাংশ।
প্রসঙ্গত রেপো রেট হয় যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নেয়। এখন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে যত বেশি টাকা সুদ রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে গুনতে হবে, তারাও সেই বোঝা গ্রাহকদের ওপর ফেলেই সংগ্রহ করার চেষ্টা করবে।
এই রেপো রেট বাড়ানোর পর কি তাহলে মাথার ওপর দিয়ে বয়ে চলা দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে? এর উত্তরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর কিন্তু সুখের কথা শোনাতে পারেননি। তাঁর মতে, ২০২৩ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিক পর্যন্ত এই মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি বজায় থাকবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা