এটিএম থেকে টাকা তুললে ১ মে থেকে একথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন
এটিএম থেকে দ্রুত টাকা তোলার সুবিধা অনেকেই কাজে লাগান। তবে যাঁরা এটিএম থেকে টাকা তুলতে অভ্যস্ত তাঁদের জন্য ১ মে থেকে এটিএম-এর খরচ বাড়ল।

ব্যাঙ্কে গিয়ে লাইন দিয়ে টাকা তোলা হোক বা সাধারণ কিছু ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, সময় বাঁচাতে তা হাতের কাছে এটিএম থেকে সেরে ফেলেন মানুষ। তাতে সময়ও বাঁচে। আর কাজটাও দ্রুত হয়ে যায়।
অনেকেই এমন আছেন যাঁরা অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম থেকেও টাকা তোলেন বা প্রয়োজনে ব্যাল্যান্স চেক করেন। এমন বিভিন্ন প্রয়োজনের ক্ষেত্রে এটিএম ইন্টারচেঞ্জ ফি বাড়তে চলেছে। ১ মে থেকে এই ফি বৃদ্ধি কার্যকর হবে। যাতে সিলমোহর দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
প্রথমে বুঝে নেওয়া যাক এটিএম ইন্টারচেঞ্জ ফি বলতে কি বোঝায়? ধরা যেতে পারে কারও ‘এ’ নামে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে। আর তাঁর হাতের নাগালে রয়েছে ‘বি’ নামের ব্যাঙ্কের এটিএম। সেই বি নামে ব্যাঙ্কে তো তাঁর অ্যাকাউন্ট নেই। কিন্তু এ নামের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকা ব্যক্তি বি নামের ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তুলে থাকেন।
এক্ষেত্রে মাসে বিনামূল্যে এই পরিষেবা পাওয়ার নির্দিষ্ট সীমা পার করে তার চেয়ে বেশিবার টাকা তুলতে গেলে এখনও চার্জ দিতে হয়। সেটা এখন দিতে হয় লেনদেন পিছু ১৭ টাকা।
১ মে থেকে ২ টাকা বেড়ে দিতে হবে ১৯ টাকা করে। আর্থিক লেনদেন নয়, এমন পরিষেবার ক্ষেত্রে এখন ৬ টাকা করে দিতে হয় মাসে নির্দিষ্ট সংখ্যক বিনামূল্যের সুযোগ পার করার পর। ১ মে থেকে দিতে হবে ৭ টাকা করে।
দেশে যে বৃহৎ ব্যাঙ্কগুলি রয়েছে তাদের এটিএম-এর সংখ্যা অনেক। হাতের নাগালে তাদের একটা না একটা এটিএম পাওয়া যায়। কিন্তু অপেক্ষাকৃত ছোট ব্যাঙ্কগুলির এত এটিএম নেই।
অনেকসময় তাদের এটিএম কোথায় সেটাও খোঁজ খবর করে জানতে হয় গ্রাহকদের। এই সব ছোট ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের এটিএম পরিষেবা পাওয়ার জন্য অন্য ব্যাঙ্কের ওপর নির্ভর করতে হয়। সেই ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার করতে হয়। তাঁদের ওপর এই আর্থিক ভার আরও বেশি করে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা