পিছনোর আবেদন খারিজ, সুশান্ত কাণ্ডে ইডি-র জেরার মুখে রিয়া চক্রবর্তী
সুশান্ত সিং রাজপুত কাণ্ডে এবার ইডি-র জেরার মুখে পড়লেন সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। আর্থিক দুনীতি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।
মুম্বই : জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও কিছুটা সময় ইডি-র কাছে চেয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। কিন্তু রিয়ার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ইডি। ফলে আর উপায় ছিলনা। শুক্রবার সকালে ভাই সৌভিক চক্রবর্তীর সঙ্গে মুম্বইয়ে ইডি-র দফতরে পৌঁছন রিয়া। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ইডি দফতরে পৌঁছন তিনি। সেখানে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এর আওতায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা।
শেষ এক বছরে সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ইডি আধিকারিকদের মনে। অন্যদিকে সুশান্তের পরিবার দাবি করেছে রিয়া জোর করে সুশান্তের কাছ থেকে টাকা নিতেন। এটাও হয়তো ইডি-কে ভাবাচ্ছে। এছাড়াও বেশ কিছু সম্পত্তি ক্রয় নিয়েও ইডি-র প্রশ্ন রয়েছে। রিয়া চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চাইছে ইডি।
ইডি মনে করছে সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে যে আর্থিক লেনদেন হয়েছে তাতে ধোঁয়াশা রয়েছে। রিয়া সহ তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধেও গত ৩১ জুলাই মামলা দায়ের করেছে ইডি। এছাড়া রিয়ার প্রাক্তন ম্যানেজারকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। রিয়া এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ইডি যে মামলা দায়ের করেছে তা পুরোপুরি বিহার পুলিশের এফআইআর-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। সুশান্তের বাবার করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বিহার পুলিশ।
সুপ্রিম কোর্টের শুনানির কথা সামনে রেখে রিয়া চক্রবর্তী শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও একটু সময় চান ইডির কাছে। কিন্তু ইডি তাতে রাজি হয়নি। তারপরই রিয়া ভাইয়ের সঙ্গে ইডি অফিসে হাজির হন। এদিকে সিবিআই-ও রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে। বিহার পুলিশের অনুরোধে সিবিআই তদন্তে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। ফলে সিবিআই তাদের মত করে তদন্ত শুরু করতে চলেছে। যে দাবি সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই উঠছিল। কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকার সিবিআই তদন্তে রাজি ছিলনা। তারা বারবার মুম্বই পুলিশের ওপর ভরসা রাখার কথা বলে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতাই করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা