এবার সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রিয়া চক্রবর্তী
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। তারমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ অভিনেত্রী।
নয়াদিল্লি : অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে আর্থিক দুর্নীতির মামলাতেও রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইডি। বিহার পুলিশের কাছে করা সুশান্তের বাবার আবেদনের ভিত্তিতে মামলা গেছে সিবিআইয়ের কাছেও। সবমিলিয়ে রিয়া চক্রবর্তী নামটা এখন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় একদম সামনে এসে পড়েছে। সুশান্তের মৃত্যুর জন্য রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছে সুশান্তের পরিবারও। এই অবস্থায় বিপাকে পড়া অভিনেত্রী এবার সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে সোজা হাজির হলেন সুপ্রিম কোর্টে।
অভিনেত্রীর অভিযোগ সংবাদমাধ্যম আগেভাগেই তাঁর বিচার করে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে দিয়েছে। তিনি ২ অভিনেতার নিজেদের শেষ করে দেওয়ার প্রসঙ্গও টেনে আনেন। রিয়া সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে লিখেছেন, গত ৩০ দিনের মধ্যে ২ অভিনেতা আশুতোষ ভাকরে ও সমীর শর্মা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও গুঞ্জন নেই। কোনও ফিসফাস হচ্ছেনা। রিয়া চক্রবর্তী আরও অভিযোগ করে দাবি করেন বিভিন্ন চ্যানেল নিজেরাই সুশান্তের মামলার বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এবং জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে দিয়ে তাঁকে ইতিমধ্যেই দোষীও সাব্যস্ত করে দিয়েছে। অথচ এটাই এখনও প্রমাণ হয়নি যে সুশান্তের মৃত্যুর পিছনে কোনও রকম অসাধুতা বা হত্যার মত ঘটনা ঘটেছে।
আরও গুরুতর অভিযোগ এনে রিয়া লিখেছেন, সুশান্ত বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। আর চলতি বছরের শেষেই বিহারে নির্বাচন। আবার ঠিক তার আগেই সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাই এই নিয়ে এত হৈচৈ হচ্ছে। বিহারে চলতি বছরের শেষে নির্বাচন রয়েছে বলে সেটাকে সামনে রেখে তাঁকে রাজনীতির বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রিয়া চক্রবর্তী। তিনি আরও লেখেন, সুশান্তের মামলায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত পাটনায় এফআইআর দাখিলে জড়িয়ে পড়েছেন।
রিয়া চক্রবর্তী তাঁর আবেদনে জানান, এই মামলাকে ক্রমাগত অত্যন্ত রোমাঞ্চকর করে তোলা হচ্ছে। তারফলে তাঁর ওপর চরম মানসিক চাপ পড়ছে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা লঙ্ঘন হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে রিয়া নিজেকে রাজনীতির বলির পাঁঠা হওয়া থেকে রক্ষার আবেদন করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা