টার্গেট মিডিয়া, গাড়ির কাচে কনুই দিয়ে মারলেন রিয়া চক্রবর্তী
সংবাদমাধ্যমের ওপর কতটা রেগে আছেন রিয়া চক্রবর্তী? বোঝা গেল শুক্রবার।
মুম্বই : শুক্রবার সুশান্ত সিং রাজপুত কাণ্ডে তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। এতদিন মুম্বই পুলিশ বা ইডি-র মুখে পড়েছেন রিয়া। এদিন বাড়ি থেকে বার হন সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে। যা হয়তো তাঁকে এমনিতেই প্রবল চাপে রেখেছিল। তারমধ্যে মিডিয়ার বিরুদ্ধে একটা চাপা ক্ষোভ যে তাঁর ছিল তা দিন আরও একবার স্পষ্ট হল।
সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে শুক্রবার নিজের বাড়ি থেকে বার হন রিয়া। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই সৌভিক। রিয়া বসেছিলেন গাড়ির চালকের ঠিক পিছনে। জানালার ধারেই বসেছিলেন তিনি। মুখে ছিল সি-গ্রিন রংয়ের মাস্ক। রিয়া বাড়ি থেকে বার হতেই অপেক্ষারত সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর একটা ছবি নিতে। অবশ্যই গাড়ির কাচ তোলা ছিল। সেই কাচের ওপার থেকেই ক্যামেরা তাক করা হয় রিয়ার একটা ছবি নিতে।
ঠিক তখনই আচমকা রেগে যান রিয়া। চেষ্টা করছিলেন যে তাঁর ছবি যাতে কেউ তুলতে না পারেন। আচমকা তিনি মিডিয়ার ওপর রেগে কনুই দিয়ে গোঁত্তা মারার মত করে গাড়ির কাচের ওপর মারেন। অবশ্যই কাচে মারা টার্গেট ছিলনা। টার্গেট ছিল কাচের ওপর হামলে পড়া মিডিয়া। রিয়ার এই রেগে গিয়ে কনুইয়ের গুঁতোর ভিডিও এখন ভাইরাল হয়েছে।
সুশান্তের বাবা বারবার দাবি করেছেন তাঁর ছেলের মৃত্যুর পিছনে রিয়াই প্রধানতম কারণ। রিয়াই সুশান্তকে বিষ দিতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার চলছে। একটি হ্যাশট্যাগও খুব চলছে। রিয়াকে গ্রেফতারের দাবিতে এই হ্যাশট্যাগ যথেষ্ট ছড়িয়ে পড়েছে। তারমধ্যে সুশান্তের মৃত্যুর পিছনে রিয়ার হাত রয়েছে এমন দাবি সুশান্তের বাবা বলেই নয়, বিভিন্ন মহল থেকে উঠছে।
মুম্বই পুলিশের হাত থেকে তদন্ত বেরিয়ে গিয়ে সিবিআইয়ের হাতে যাওয়া বাড়তি চাপ তৈরি করে দিয়েছে হয়তো রিয়ার ওপর। হয়তো রিয়া এটাও বুঝছেন যে তাঁর কেরিয়ার এই ঘটনাক্রমে শেষ হয়ে যেতে পারে। তারওপর মিডিয়ায় যা প্রচার হচ্ছে তা কার্যত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রিয়ার বিরুদ্ধেই যাচ্ছে। সব কিছু এদিন কনুইয়ের গুঁতোয় স্পষ্ট হয়ে গেল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা