সমুদ্রের ধারে খালি গায়ের নারী পুরুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল ফড়িং গ্যাং
তাঁরা এসেছিলেন অবসর সময় কাটাতে। সমুদ্রের ধারে বেড়াতে। রোদ পোহাতে। কিন্তু যা ঘটল তাঁদের সঙ্গে তার জন্য তাঁরা একেবারেই প্রস্তুত ছিলেননা।
ভারত, বাংলাদেশের মত দেশে সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গেলে সকলে পূর্ণ পোশাকেই কাটান। ভারতে অবশ্য কয়েকটি এমন সমুদ্রসৈকত রয়েছে যেখানে বিদেশিরা রোদ পোহানোর জন্য খোলামেলা শরীরে ঘোরেন, শুয়ে থাকেন। যাকে তাঁরা সূর্যস্নান বলেন। বিদেশে অবশ্য অনেকেই এভাবে সমুদ্রসৈকতে খোলামেলা শরীরে অবসর কাটানো বা সূর্যস্নান করে থাকেন।
তেমনই একটি সমুদ্রসৈকতে তখন বহু মানুষের ভিড়। অধিকাংশ নারী পুরুষ থেকে কিশোর কিশোরী, শিশুরা খালি গায়ে নামমাত্র পোশাকে অবসর কাটাচ্ছিলেন নিজেদের মত করে।
স্থানীয় সময় বেলা তখন ১১টা। সেই সময় তাঁরা লক্ষ্য করেন সমুদ্রের দিক থেকে ক্রমে ফড়িংদের উপদ্রব বাড়ছে। এই ফড়িং উড়ে আসা বাড়তেই থাকে। বেলা ১টা নাগাদ তা চরমে পৌঁছে যায়। ঢেউয়ের মত ফড়িংয়ের পাল উড়ে যেতে থাকে সমুদ্রসৈকতের উপর দিয়ে।
অনেকেরই তখন খালি গায়ে সমুদ্রের ধারে অবসর কাটানো লাটে উঠেছে। কারণ তাঁদের গায়ে উড়ে এসে বসতে শুরু করেছে ফড়িংরা। ছোটরাও বালি নিয়ে খেলা ফেলে তখন পালাতে ব্যস্ত। ফড়িং থেকে বাঁচতে অনেকেই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নেন।
গায়ে যা এসে বসছে তা সহ্য করলেও মুখ, চোখ বাঁচাতে থাকেন সূর্যস্নানে আসা মানুষজন। দ্রুত সব গুটিয়ে সমুদ্রের ধারে অবসর যাপন ফেলে ফাঁকা করতে থাকেন বালুকাবেলা।
ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার রোড আইল্যান্ড সমুদ্রসৈকতে। পৃথিবী বিখ্যাত এই সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। তাঁদের কাছে এমন ফড়িং গ্যাংয়ের আক্রমণ একেবারেই অভিপ্রেত ছিলনা। প্রসঙ্গত নিজেদের বাসস্থান পরিবর্তন করতে ফড়িংরা এমনভাবে ঝাঁকে ঝাঁকে বহু দূর পাড়ি দেয়।