
ব্রাজিল মানেই সাম্বা, আর সাম্বা মানেই ব্রাজিল। সেই সিগনেচার সাম্বাকে সামনে রেখেই রঙিন আলো আর আতসবাজির রোশনাইতে লাস্যময়ী চেহারা নিল সন্ধের রিও ডি জেনিরো। ব্রাজিলের এই সৈকত শহরেই আগামী ১৫ দিন দেশের জন্য নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেবেন বিশ্বের তামাম ক্রীড়াবিদরা। সেই মহাসংগ্রামের উদ্বোধনে চমকিত গোটা বিশ্ব। চোখ ধাঁধানো উদ্বোধনে রং খেলা করে বেড়ালো। আলো নাচল নিজের ছন্দে। লাস্যময়ী তারুণ্য মাতাল করল দর্শকদের। সুন্দরীদের ভিড়ে হারিয়ে গেল মারকানা। তবে সব কিছুর মধ্যেও রইল জোড়াল বার্তা। বহু প্রতীক্ষার শেষে ৩১ তম অলিম্পিক গেমসের ৪ ঘণ্টার চোখ ঝলসানো উদ্বোধনে জায়গা পেল বিশ্ব উষ্ণায়নের সমস্যা। অনেকেই মনে করেছিলেন ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে সাম্বার সঙ্গে সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জায়গা পাবে ফুটবল। কিন্তু ফুটবলকে পাশে সরিয়ে ব্রাজিল বুঝিয়ে দিল অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মত বড় প্ল্যাটফর্মকে নিছক বিনোদনে সীমাবদ্ধ না রেখে একটা বার্তা বহন করতে পারলে তা বিশ্ববাসীর কাছে মুহুর্তে পৌঁছে যাবে। এখানেই কোথাও একটা বিশেষত্বের ছাপ রাখলেন উদ্যোক্তারা। বাকিটা সত্যিই বিনোদন। যা দেখার জন্য গোটা বিশ্ব অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিল। ভারতবাসীরও রাতের ঘুমে কাটছাঁট করে ভোর সাড়ে চারটে থেকে চোখ রাখলেন টিভির পর্দায়। আর যে বাঙালি মহালয়া বাদ দিলে এমন ভোরে চেখ মোলতে নারাজ, তারাও উঠল গা ঝাড়া দিয়ে। আবার চার বছর বাদেই এমন এক অনুষ্ঠানের সাক্ষী হওয়া যাবে। এদিন সারিবদ্ধভাবে একের পর এক দেশের ক্রীড়াবিদরা মারকানায় তাদের জাতীয় পতাকার সঙ্গে পা মিলিয়েছেন। ভারতের পতাকাবাহক হিসাবে ছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। তালিকায় ৯৫ নম্বরে এদিন স্টেডিয়ামে হাজির হয় ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সারি। অলিম্পিকের প্রথম দিনেই লন টেনিস, ব্যাডমিন্টন সহ বেশ কিছু ইভেন্টে নামতে চলেছেন ভারতীয় খেলোয়াড়েরা।