প্রয়াত ঋষি কাপুর, একটা যুগের সমাপ্তি
গত বুধবারই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আর বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিশিষ্ট অভিনেতা ঋষি কাপুর।
অভিনেতা ইরফান খানের অকাল প্রয়াণের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি বলিউড। তার আগেই ফের এল দুঃসংবাদ। একদিনের ব্যবধানে মারা গেলেন ভারতীয় সিনেমার আর এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ঋষি কাপুর। গত বুধবার তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তাঁর শরীর ভাল লাগছে না বলে পরিবারকে জানান তিনি। পরিবারের তরফেই উদ্যোগ নিয়ে তাঁকে দ্রুত মুম্বইয়ের স্যার এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর জানিয়েছিলেন তাঁর দাদা রণধীর কাপুর। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার সকালে চলে গেলেন ঋষি কাপুর।
২০১৮ সালে ঋষি কাপুরের ক্যানসার ধরা পড়ে। তারপর তিনি নিউ ইয়র্কে উড়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। ট্যুইট করতেন। জানাতেন নিজের শরীরের অবস্থা। সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়েও তিনি ট্যুইট করে নিজের মতামত দিতেন। যা নিয়ে অনেক সময় সমালোচনারও শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। পরে তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে মুম্বই ফিরে আসেন। তারপর পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁকে যখন বুধবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখনও তাঁর সঙ্গেই ছিলেন স্ত্রী নীতু সিং।
ঋষি কাপুরের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বলিউড। অমিতাভ বচ্চন তাঁর প্রয়াণের খবর ট্যুইট করে জানান। অমর আকবর অ্যান্টনি, নসীব, কুলি সহ বিভিন্ন সিনেমায় অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ঋষি কাপুরের অভিনয় এখনও মানুষ মনে রেখেছেন। ১৯৭০ সালে মেরা নাম জোকার সিনেমা দিয়ে অভিনয় যাত্রা শুরু করে ঋষি কাপুর দীর্ঘ সিনেমা জীবনে একের পর এক কালজয়ী সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ২০১৯ সালেও তিনি ২টি সিনেমায় অভিনয় করেন। ঝুটা কাঁহি কা এবং দ্যা বডি। অবশেষে বলিউডের চিন্টুজি চলে গেলেন। রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী নীতু সিং, ছেলে রণবীর কাপুর ও মেয়ে ঋদ্ধিমাকে। তাঁর মৃত্যু বলিউডের এক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা