আপনার সংস্থার এক কর্মী আমার বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বলছেন। প্রয়োজনে তিনি এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাবেন। সূত্রের খবর, লিখিত আকারে বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থার কাছে এমনই জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়ির ডার্বি ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন এই বাম যুব নেতা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে অনেক বাম কর্মী-সমর্থক ছবি তোলেন। তখন হাসি মুখে ছবি তুললেও পরে একটি ফেসবুক পোস্ট দেখে সব হাসি ম্লান হয়ে যায় ঋতব্রত-র। ছবিটি পোস্ট করেন বেঙ্গালুরুতে কর্মরত এক বাম সমর্থক যুবক। যেখানে ছবির তলায় তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, মঁ ব্লাঁ-র মত দামী পেন বা অ্যাপেলের মত মূল্যবান ঘড়ি কী করে একজন বাম নেতার পক্ষে কেনা সম্ভব? এই বিলাসবহুল জীবন বাম সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যায়। ভাইরালের মত ছড়িয়ে পড়ে বিষয়টি। খুব স্বাভাবিকভাবেই যা রাজ্য বাম নেতৃত্বের নজরে আসে। সূত্রের খবর, ঋতব্রত-র এই জীবনধারা নিয়ে তাঁরাও বিরক্ত। বিরক্ত দিল্লির পলিটব্যুরোও। এমনকি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও করতে পারে দল। অবস্থা আরও জটিল করেছে এই পোস্ট দেখে ঋতব্রত-র পরবর্তী পদক্ষেপ। সূত্রের খবর, বিষয়টি নজরে আসতেই বাম সাংসদ ওই যুবকের সম্বন্ধে যাবতীয় খোঁজ নেন। খুঁজে বার করেন তাঁর অফিস। তারপর বেঙ্গালুরুর ওই অফিসে লিখিত আকারে নিজের অভিযোগ জানান। এমনও অভিযোগ সামনে এসেছে যে ঋতব্রত নাকি ওই যুবককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার জন্যও ওই সংস্থাকে ঘুরিয়ে চাপ দিয়েছেন। সেকথাও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর অস্বস্তিতে পড়ে যান বাম নেতারা। যা আদপে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি আরও আলগা করেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।