না জেনে অমূল্য প্রস্তরখণ্ড দরজা আটকানোর কাজে লাগাতেন বৃদ্ধা
না জানলে কোহিনুর হিরেও মানুষ পেপারওয়েট হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। যে ঘটনা ঘটেছে তা অনেকটা তেমনই। দরজা বন্ধ করতে ব্যবহার হত অতি দামি এক প্রস্তরখণ্ড।
একটা পাথর। গাঢ় খয়েরি রংয়ের দেখতে। এবড়োখেবড়ো সারা গা। সেই পাথরের খণ্ডটিকে দরজা আটকানোর কাজে ব্যবহার করতেন এক বৃদ্ধা। যেমন অনেকে ইট বা কোনও সাধারণ পাথরের টুকরো রেখে দেন দরজার পাশে। যাতে সেটা আটকানোর প্রয়োজন পড়লে ইট বা পাথরটিকে কাজে লাগানো যায়।
পাথরটিকে এক বৃদ্ধা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ওই দরজার পাশেই অবহেলায় ফেলে রাখতেন। দরকারে তা দিয়ে দরজা আটকাতেন। ১৯৯১ সালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করার পর তাঁর এক আত্মীয় সম্পত্তিটি পান।
তিনি দরজার পাশে পড়ে থাকা ওই পাথরের টুকরোটা এভাবে হেলায় ফেলে রাখার মত জিনিস নয় বলে মনে করেন। সন্দেহ হতে তিনি তা পরীক্ষা করে দেখেন। আর তা করতে গিয়ে জানা যায় সেটি কোনও সাধারণ পাথরই নয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আকারের অ্যাম্বার পাথরের খণ্ড সেটি। ওজন প্রায় সাড়ে ৩ কেজি। সেটি দরজার ধারে পড়ে থাকার জিনিস নয়। কারণ সেটি এতটাই দামি যে তাকে অমূল্য সম্পদ বললেও ভুল হবেনা।
রোমানিয়ার কোল্টি নামে একটি গ্রামে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে দরজার কোণায় পড়ে থাকা পাথরটির সম্বন্ধে জানতে পারার পর সেটি উদ্ধার করে আপাতত বুজেউ মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে। যা দেখতে অনেক বিশেষজ্ঞও হাজির হচ্ছেন সেখানে।
প্রসঙ্গত দামি অ্যাম্বার পাথর রোমানিয়ায় অনেক রয়েছে। বুজেউ প্রদেশেই তা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা ওই বৃদ্ধার বাড়ির অ্যাম্বার পাথরটি পরীক্ষার পর জানিয়েছেন সেটি সাধারণ অ্যাম্বার পাথরও নয়। তার বয়স ৭ কোটি বছর হতে পারে। পাথরটি আপাতত রোমানিয়ার জাতীয় সম্পদ হিসাবে রক্ষিত হয়েছে।