সাতরঙা চা, সপ্ত স্বাদে বুঁদ বাঙালি
দুরন্ত এক আবিষ্কার। এই সাত রঙা চা আবিষ্কার হয় একযুগ আগেই। যা পান করতে খরচ করে হাজির হন দেশের বিভিন্ন কোণার মানুষ।
গ্লাস বা কাপ যদি স্বচ্ছ হয় তবে তাতে চোখ রাখলেই পরিস্কার বোঝা যাবে ৭টি আলাদা আলাদা রঙ। কেউ কারও সঙ্গে মিশে যায়নি। ফ্লেভারও আলাদা। প্রতিটি স্তর নতুন স্বাদে মন ভোলাবে।
এমনই এক দুরন্ত আবিষ্কার করে গোটা বাংলাদেশকে চমকে দিয়েছিলেন রমেশ রাম গৌর। রমেশের সেই সাত রঙা চা আবিষ্কার হয়েছিল ১০ বছর আগেই।
বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী হিসাবে পরিচিত মৌলভীবাজার জেলা। এখানকার শ্রীমঙ্গল শহরে বসবাস রমেশের। নিজের বাড়িতেই তিনি তৈরি করে ফেলেন এই সাতরঙা চা।
যা পান করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকটা পথ পার করে খরচ করে হাজির হতেন বাংলাদেশের বিভিন্ন কোণার মানুষ। এমনকি পর্যটকদের কাছেও এই চা পান পর্যটনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়।
এখন বাংলাদেশের অনেকেই রমেশকে নকল করে সাত রঙা চা বানাচ্ছেন। তবে রমেশ রাম গৌর এখনও কারও কাছে মুখ খোলেননি এই চা তৈরির রহস্য নিয়ে।
কেমন করে তৈরি করেন এমন চা? বারবার জিজ্ঞাসা করলেও উত্তর দেননি তিনি। একজন চা বিক্রেতা কীভাবে এমন দুরন্ত এক আবিষ্কার করে ফেললেন সেই কাহিনি তাই আজও অজানা। তবে রমেশ রাম গৌর এখন দেশ ও বিদেশের মানুষের চোখে বাংলাদেশের অন্যতম সেলেব্রিটি। সাতরঙা চায়ের অবিষ্কর্তা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা