৫ কিলোমিটার উঁচুতে দিঘি, ছড়িয়ে আছে প্রাচীনকালের কঙ্কাল
কোথাও পড়ে আছে করোটি। তো কোথাও হাড়গোড়। হিমালয়ের কোলে এক দিঘির চারধারে ছড়িয়ে থাকা কঙ্কালের এই স্তূপও এল কোথা থেকে তাও এক প্রশ্ন।
হিমালয় এখনও রহস্যেই মোড়া। যার আনাচেকানাচে ছড়িয়ে আছে অজানা রহস্য। তেমনই এক রহস্যের নাম রূপকুণ্ড দিঘি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার মিটার উঁচুতে ৩টি পাহাড়ের মাঝে রয়েছে এই জল। যে ৩টি পাহাড়কে ডাকা হয় ত্রিশূল নামে।
এই ত্রিশূলের মাঝে রূপকুণ্ড দিঘি উত্তরখণ্ডের কুমায়ুন এলাকায় রয়েছে। যে দিঘিকে এখনও হিমালয়ের অন্যতম রহস্য হিসাবেই মনে করা হয়।
দিঘির জল বছরের অনেকটা সময় বরফ হয়ে থাকে। তখন কিছু দেখা যায়না। তবে বরফ গলে গেলে তখন সেই জলের চারধার জুড়ে নজরে পড়ে কঙ্কালের স্তূপ।
চতুর্দিকে ছড়িয়ে থাকা কঙ্কাল। জলের মধ্যেও কঙ্কাল স্পষ্ট নজর কাড়ে। কোথা থেকে এল এত নরকঙ্কাল? সে রহস্য এখনও উন্মোচিত হয়নি।
এখনও যেহেতু এই কঙ্কালের স্তূপ রহস্যে মোড়া তাই তা নিয়ে নানা কাহিনি মুখে মুখে ঘোরে। এমনও মনে করা হয় বহুকাল আগে এক রাজা ও রানি স্থির করেন তাঁরা নন্দাদেবী পর্বত আরোহণ করে নন্দাদেবীর দর্শন করবেন।
রাজা, রানি তাঁদের ভৃত্যদের সঙ্গে করে এরপর পাহাড়ে চড়া শুরু করেন। এই পাহাড় চড়ার পথে প্রবল হইচই করতে থাকেন সকলে। যা দেখে নন্দাদেবী ক্রুদ্ধ হয়ে বজ্রপাত ঘটান। তাতে রাজা, রানি ও তাঁদের ভৃত্যদের মৃত্যু হয়। এসব কঙ্কাল তাঁদেরই।
এটা কথিত কাহিনি। তবে গবেষকদের একাংশের দাবি এ কঙ্কাল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওই পথে আসা জাপানি সেনার। গবেষকদের আর এক অংশের বিশ্বাস এত কঙ্কাল কেবল একটি দেশের মানুষের নয়। এখানে যেমন ভারতীয় দেহ রয়েছে। তেমনই রয়েছে গ্রিসের মানুষের দেহ। আবার কয়েকজন গবেষকের দাবি, এসব কঙ্কাল চিনা নাগরিকদের।
এমন নানা মত প্রচলিত রয়েছে। তবে এখনও এটা স্পষ্ট করে জানা যায়নি এই ৬০০ থেকে ৮০০ জন মানুষের কঙ্কাল এখানে এল কোথা থেকে। গবেষকেরা এটা অবশ্য জানিয়েছেন যে কঙ্কালগুলি নারীপুরুষ মিশিয়ে রয়েছে। কয়েকটি কঙ্কালের হাড়ে ফাটলও পাওয়া গেছে।