প্রচার পাওয়াই কি উদ্দেশ্য, সুব্রত মুখোপাধ্যায় সম্বন্ধে কুরুচিকর পোস্ট রূপার
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে যখন সব দলের নেতারাই স্মৃতিচারণা করছেন, তখন সুব্রতবাবু সম্বন্ধে কুরুচিকর পোস্ট করে বিতর্কে জড়ালেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে বঙ্গ রাজনীতি শোকস্তব্ধ। শুক্রবার সন্ধেয় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে তাঁর। শুক্রবার শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা বলেই নন, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরাও শোক প্রকাশ করেছেন।
দিলীপবাবুকে স্মৃতিচারণ করতে শোনা গেছে। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য হোন বা একাধিক বাম নেতা, এদিন শ্রদ্ধা জানান সুব্রতবাবুকে। সকলেই স্মৃতি চারণে রাজনীতি পাশে রেখে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, সুন্দর মুহুর্তগুলির কথা তুলে ধরেন।
এই আবহে কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু পোস্ট বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় করলেন যাকে কুরুচিকর এবং সময়জ্ঞানহীন মন্তব্য বলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এক জায়গায় লিখেছেন, ‘ধ্যাৎ, সবাই যেন হঠাৎ বালিগঞ্জে একা হয়ে গেল, সরি বস’। কোথাও লিখেছেন, ‘তিস্তাকে নিয়েছ বস, কিছু তো ফেরত নেবে মা কালী’।
কিছুদিন আগে দুর্ঘটনায় প্রয়াত বিজেপি নেত্রী তিস্তার কথাই কি এখানে বলার চেষ্টা করেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়? তা পরিস্কার হয়নি। তবে সেটাই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
একডালিয়া এভারগ্রীণের দুর্গাপুজো সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলার অন্যতম সেরা পুজো হয়ে উঠেছে। সুব্রতবাবু প্রকাশ্যেই বলতেন তিনি পুজো করেন, থিম করেন না।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায় সোশ্যাল মাধ্যমে লিখেছেন, ‘পুজো ঝকমক করা আর টাকা তোলা ছাড়া যার কোনও কন্ট্রিবিউশন ছিলনা, তার জন্য আমার কোনও রেসপেক্ট নেই..সরি বস’।
এমনকি বিজেপি নেত্রী এটাও দাবি করেছেন যে ২০২১ নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন সুব্রতবাবু। কিন্তু ডিল পছন্দ না হওয়ায় যোগ দেননি।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের এমন একের পর এক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। কয়েকজনের সমর্থন পেলেও অধিকাংশ নেটিজেন তাঁর বিরুদ্ধেই মন্তব্য করেছেন।
রূপার সময়জ্ঞান, রুচি ও ভাষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, কেবলই প্রচার পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা ছাড়া এটাই কিছুই নয়। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় প্রচার চাইছেন। তাই এসব লিখছেন।