ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের আগেই বিধ্বংসী ‘সাইক্লোন’-এর কবলে পড়েছেন নেটিজেনরা। সেই ঝড়ে রীতিমত তছনছ হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি পুরুষ হৃদয়ের সাজানো বাগান। কিভাবে সেই ঝড়ের দাপট প্রতিহত করা সম্ভব? উপায় জানা নেই কারোরই। ঈশ্বরের নামজপ করার মতো ২৪ ঘণ্টা এখন সেই ‘সাইক্লোন’-এর নাম মুখে মুখে ফিরছে সকলের।
প্রিয়া প্রকাশ বারিয়ার। মাত্র ১৮ বছর বয়সের সেই কটাক্ষে কুপোকাত ইন্টারনেট দুনিয়া। মোহময়ী চাহনি ও হাসির ছুরিতে একে একে তিনি আঘাত করে চলেছেন প্রেমিক হৃদয়কে। তাঁর বিজয়রথ থামানোর সাধ্যি নেই কারোরই। অবশ্য অষ্টাদশী প্রিয়াকে থামাতে চাইছেননা কেউই।
আসন্ন মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ওরু এদার লাভ’-এর হাত ধরে রাতারাতি ‘স্টার’ বনে গেছেন স্কুল পড়ুয়া প্রিয়া। তাঁর দুই ভুরুর নাচন, দুষ্টুমিষ্টি হাসি আর মায়াবী ইশারায় কাবু হয়ে পড়েছেন দেশ-বিদেশের ‘রোমিও’-রা।
তাহলে ভাবুন, যাঁর দিকে রোম্যান্টিক প্রেমের ইশারা ছুঁড়ে দিয়েছেন ‘সেক্সি’ প্রিয়া, তাঁর এখন কি অবস্থা? কেমন আছেন প্রিয়ার সেই সহপাঠী, দুষ্টুমিতে ভরা ইঙ্গিত দিতে যিনি কম যাননি? যাঁর চোখের ইশারার জবাব দিতেই পাল্টা নয়নের তির ছুঁড়েছিলেন প্রিয়া? যে তিরে বিদ্ধ হয়ে ‘মাণিক্য মালারায়া’ গানের ভিডিওতে ‘বোল্ড’ হতে দেখা গিয়েছিল তরুণকে? কি তাঁর পরিচয়? সোশ্যাল দুনিয়াতেই পাওয়া গেল সেই উত্তর।
প্রিয়ার ‘আশিক’ সহপাঠীর ভালো নাম রোশন আব্দুল রাহুফ। বাড়ি কেরালায়। সেখানকার স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন রোশন। প্রিয়ার মতো অতটা জনপ্রিয়তা না পেলেও ফ্যান ফলোয়িং অনেকটাই বেড়ে গেছে তাঁরও। রূপোলী পর্দায় প্রিয়াকে লক্ষ্য করে রোশনের আবেদনময় দৃষ্টি, প্রিয়ার পাল্টা গভীর ইশারায় রোশনের হৃদয়হরণ করা লাজুক হাসি। এইসব এখন রাতের ঘুম কেড়েছে বাস্তবের বহু প্রিয়ার।
মধ্যপ্রাচ্যের আবুধাবিতে জন্ম বছর ১৯-এর রোশন প্রিয়ার মতো নাচটা ভালোই জানেন। ওয়েস্টার্ন বা ক্লাসিক্যাল, দুই ধারার নাচেই সিদ্ধহস্ত রোশন। সিনেমা জগতে হাতেখড়ি হওয়ার আগে একটি ডান্স রিয়্যালিটি শোতে অংশও নিয়েছিলেন তিনি।
তবে নৃত্যশিল্পী নয়, রোশনের এখন একটাই পরিচয়। তিনি অসংখ্য মহিলা অনুরাগীর হৃদয়ের ‘লুঠেরা’। ‘ওরু এদার লাভ’ দিয়েই ৫ ফুট ৭ ইঞ্চির রোশনের এখন একটাই লক্ষ্য, কেরিয়ারের লম্বা দৌড়ের ট্র্যাকে না থেমে স্টেডি এগিয়ে যাওয়া।