৬টি তল, প্রতিটি তলে ৯টি করে খুদে ঘনক। ৮টি কোণ, ১২টি মাত্রা, পূর্ণাঙ্গ ঘনকের আকার। সব কিছুই হুবহু এক। আলাদা শুধু সে এক জায়গায়। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, কমলা আর সাদা। ৬টি তলের জন্য ৬টি রং তার নেই। প্রত্যেক তলের জন্য শুধু একটাই রং। সাদা, একেবারে বরফের মত সাদা। এইটুকু তফাত বাদ দিয়ে দিব্যি ৬ টি তলকে বাম ডান, উপর নিচ, কোণাকুণি করে ঘোরানো যায়। এতক্ষণ ধরে যার বিবরণ দেওয়া হল নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন কার কথা বলা হচ্ছে? হ্যাঁ, রুবিকস কিউবের কথা।
১৯৭৪ সালে হাঙ্গেরিয়ান অধ্যাপক এর্নো রুবিকের আবিষ্কৃত রঙিন ঘনক বাঘা বাঘা খেলোয়াড়দের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সেই ঘনকের চেহারা এবারে আমূল বদলে হয়ে গেল বর্ণহীন ঘনক। ইংল্যান্ডের টনি ফিশারকে একজন রুবিকস কিউব বিশেষজ্ঞ বলা যেতে পারে। তিনিই ঠান্ডা কঠিন বরফের পিণ্ড দিয়ে বানিয়ে ফেলেছেন তাক লাগানো পাজল গেমটি। এর আগে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ও বৃহত্তম রুবিকস কিউব বানিয়ে বিশ্বরেকর্ড পকেটে পুরেছিলেন টনি। এবারে বরফের রুবিকস কিউব সমেত মস্তিষ্ক আর হাতের জাদুকাঠি নিয়ে হাজির হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
টনির তৈরি রুবিকস কিউবটিকে অনেকে প্লাস্টিকের তৈরি ভেবে প্রথমে ভুল করলেও সেই ভুল ধারণা ভেঙেছেন খোদ টনি। ফুটন্ত জলের ভিতর বরফশীতল রুবিকস কিউবের সলিল সমাধি দেওয়ার সেই দৃশ্য দেখে একটা কথাই বলতে ইচ্ছা হয়। রুবিকস কিউবের মহারাজা, তোমাকে সেলাম।