‘ঢাই কিলো কা হাত’ দেখিয়ে সানি দেওল বদ লোকেদের শায়েস্তা করেছিলেন সিনেমার পর্দায়। এবার বাস্তবে ২৪ ইঞ্চির পেল্লায় বাইসেপ বানিয়ে বিশ্ববাসীকে রীতিমত তাজ্জব বানিয়ে দিলেন এক রাশিয়ান যুবক। ২১ বছরের কিরিল তেরেসিন রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। সেই চাকরি ছেড়ে এবছর থেকে সুন্দর চেহারা গড়ে তোলায় মাতেন তিনি। সেইমতো জিমে ভর্তিও হন। পেশিবহুল শক্তসমর্থ চেহারা আজকাল কোন পুরুষই বা না পেতে চান। তার জন্য অবশ্যই দরকার অধ্যবসায় আর কঠিন পরিশ্রম। শরীরচর্চায় একনিষ্ঠ কিরিল জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতেন ঠিকই, কিন্তু নিজের চেহারা নিয়ে পুরোপুরি খুশি হতে পারেননি তিনি।
তাগড়াই চেহারা না হয় তৈরি করা গেল। কিন্তু হাতের বাইসেপ, ট্রাইসেপের গঠন কিছুতেই মনে ধরছিল না কিরিলের। শেষে ডাক্তারদের শত নিষেধ অমান্য করে দিনের পর দিন সিন্থল নামে এক জাতীয় ভয়ংকর রাসায়নিক তেল ইঞ্জেকশনের সাহায্যে শরীরের ভিতরে ঢোকাতে থাকেন কিরিল। ২৫০ এমএল তেল বাইসেপে ঢোকানোর পরও মনের মত আকার না পেয়ে হতাশ হয়ে যান কিরিল। আগুপিছু না ভেবে এরপর ওই রাসায়নিক লিটার লিটার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করানো শুরু করেন তিনি। বৃহৎ আকারের বাইসেপ বানিয়ে রেকর্ড গড়া তখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। উদ্দেশ্য শেষ অবধি সফলও হয়। কিরিল তাঁর সেই বিরাটাকার ‘ঢাই কিলো কা হাত’-এর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে চোখ কপালে ওঠে সকলের।
পেশীবহুল চেহারা পেতে সিন্থলের প্রয়োগ বর্তমানে প্রচলিত একটি পদ্ধতি। তবে তা শরীরের পেশিকে কোনোভাবেই মজবুত করেনা। শুধুমাত্র পেশি ফোলানোই এর কাজ। সিন্থলের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার সংক্রমণ, স্নায়ুর সমস্যা এমনকি পক্ষাঘাতের সম্ভাবনাও তৈরি করতে পারে বলে বারবার সতর্ক করেছেন চিকিৎসকেরা। তবে এসবের পরোয়া না করে নিজের হাত নিয়েই মজে আছেন পৃথিবীর দৈত্যাকার বাইসেপের মালিক।