ছোট্ট ছোট্ট পা ফেলে নয়, বিশাল উচ্চতার পা দিয়ে বিশ্ব জয় করলেন রাশিয়ার তন্বী মডেল একাতেরিনা লিসিনা। একসময় যে পা নিয়ে স্কুলের বন্ধুদের টিটকিরি সহ্য করতে হয়েছিল, সেই পা তাঁকে এনে দিল বিশ্ব খেতাব। পৃথিবীর সবথেকে লম্বা পায়ের দাবিদার হিসেবে ২৯ বছরের মডেল নিজের নাম তুললেন গিনেস বুকে। রাশিয়ানরা এমনিতেই লম্বা হয়ে থাকেন। সে দেশের পেনজা শহরের বাসিন্দা একাতেরিনার পরিবারের সব সদস্যও পেল্লায় লম্বা। মা, বাবা, ভাই সবার উচ্চতাই ৬ ফুটের উপরে। তাই জিনগত দিক থেকে একাতেরিনাও যে লম্বা হবেন সেটাই স্বাভাবিক। তবে তাঁর শরীরের সবথেকে আশ্চর্য গঠন তাঁর পদযুগল। ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার একাতেরিনার শরীরের উর্ধ্বাংশের গঠন স্বাভাবিক হলেও অস্বাভাবিক লম্বা তাঁর দুটি পা। একঝলকে দেখে রণপা বলে ভ্রমও হতে পারে! আবার ২টি পায়ের মাপ দুরকম। বাঁ পায়ের উচ্চতা ১৩২.৮ সেন্টিমিটার। আর ডান পায়ের মাপ ১৩২.২ সেন্টিমিটার। এই পায়ের জন্য এক একসময় অবশ্য নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে একাতেরিনাকে। কখনও ঠিকঠাক মাপের প্যান্ট তাঁর পায়ে আঁটেনি, তো কখনও বিমান বা গাড়িতে বসতে গিয়ে অপ্রস্তুত হতে হয়েছে তাঁকে। এমনকি বিরাট পায়ের পাতা ধরার মতো জুতো খুঁজে পেতে ভালোই বেগ পেতে হয়েছে রাশিয়ার এই সুন্দরী মডেলকে।
তবে ঈশ্বরপ্রদত্ত অদ্ভুত সেই পদযুগল একাতেরিনাকে একেবারে নিরাশ করেনি। এই দু’পায়ে ভর করেই ২০০৮ সালে বেজিং সামার অলিম্পিকে মহিলা বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় রাশিয়ার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে দেশকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দেন একাতেরিনা। আবার হাঁটার গতির দিক থেকে বাকিদের থেকে অনেক দ্রুত একাতেরিনার চলন। শুধু তাই নয়, লম্বা পায়ের সৌজন্যেই পথে ঘাটে সাধারণ মানুষ একাতেরিনার দিকে তাকিয়ে থাকেন মুগ্ধ বিস্ময়ে। তাঁর সঙ্গে অনেকেই তুলতে চান ছবি। মানুষের এই উষ্ণ ভালোবাসা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগও করেন একাতেরিনা। তাঁর মত যাঁরা, তাঁদের শরীরের কোনও বিশেষ অঙ্গ নিয়ে সংকোচ বোধ করেন, তাঁদের কাছে একাতেরিনার আত্মবিশ্বাস হোক চলার পাথেয়।