World

রান্না হচ্ছে হৃদযন্ত্র, রক্তের ওপর বসে অপেক্ষা নরখাদকের

‘রং টার্ন’ ছবিটা দেখেছেন? ছবিতে সেই ভয়ংকর দৃশ্যের কথা মনে পড়ে? যেখানে মানুষের শরীর ফালাফালা করে তার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিচ্ছে নরখাদকরা। একে একে টেনে বার করে আনছে হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, অন্ত্র। আর রক্তমাখা অঙ্গ কচমচিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে। গা গুলিয়ে ওঠা নরপিশাচদের সেই কীর্তি এবার পর্দা ফুঁড়ে উঠে এল বাস্তবের বুকে। রাশিয়ার সাইবেরিয়াতে পাওয়া গেছে জীবন্ত নরখাদকের সন্ধান। যাকে দেখে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হয়েছে সে দেশের প্রশাসনের।

রাশিয়ার সাইবেরিয়ার ক্রাস্নোয়ার্স্ক শহরের ঘটনা। শহরের একটি ভাড়াবাড়িতে ২ সন্তানকে নিয়ে থাকতেন ‘সিঙ্গল মাদার’ একাতেরিনা নিকিফোরোভা। ২৭ বছরের ওই মহিলার সঙ্গে সম্প্রতি আলাপ হয় অ্যালেক্স ইয়াস্ত্রেবভ নামে এক ব্যক্তির। গত ১৯ মার্চ একাতেরিনার বাড়ি যায় অ্যালেক্স। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত কোনও বিষয় নিয়ে একাতেরিনার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে অ্যালেক্স। রাগের মাথায় রান্নাঘরে রাখা ছুরি নিয়ে যুবতীর ওপর চড়াও হয় সে। ছুরি দিয়ে মহিলার গলা, বুক ফালাফালা করে দেয় অ্যালেক্স। তবে এতেও রাগ প্রশমন হয়নি তার। এরপর নিথর একাতেরিনার শরীর থেকে দু হাত দিয়ে টেনে বার করে আনে তাঁর হৃদযন্ত্র, ফুসফুস। সেই হৃদয় সে রান্নাও করে খাওয়ার জন্য।


একাতেরিনার বাড়ির মালিকের দাবি, গত সোমবার তাঁর কাছে একটা ফোন আসে। ফোনে অ্যালেক্স তাঁকে একাতেরিনাকে খুন করে তাঁর দেহের পাশে রক্তের ওপর বসে থাকার কথা জানায়। ফোনে এমন শিউড়ে ওঠা খবর পেয়েই বাড়ির মালিক খবর দেন পুলিশে। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে জখম অবস্থায় মহিলার দেহের পাশে বসে থাকতে দেখে তারা। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত তাদের জানায় যে একাতিনার ফুসফুস সে খেয়ে ফেলেছে। সে আরও জানায়, মৃতার হৃদযন্ত্র রান্না হচ্ছে পাত্রে, খাওয়ার জন্য। এর কিছুক্ষণ পরেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পরে অ্যালেক্স। পুলিশের ধারণা, একাতেরিনাকে মারার পর অভিযুক্ত নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিল। কি কারণে একাতেরিনার এমন নারকীয় পরিণতি হল তা স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের ধারণা, অ্যালেক্স মানসিক ভারসাম্যহীন, ড্রাগ আসক্ত। তাই নেশার ঘোরে সে এমন কাজ করল কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button