সেলুনে ডাকাতি করাই ছিল উদ্দেশ্য। সেলুনের মালিক এক তরুণী। ফলে কাজটা সহজ হবে বলেই ধরে নিয়েছিল ৩২ বছরের ভিক্টর জ্যাসিনস্কি। রাশিয়ার মেসচোভস্ক শহরে এই ডাকাতির চেষ্টার ফল যে কী হতে পারে সে সম্বন্ধে কোনও ধারণাই ছিলনা ভিক্টরের। ধারণা হল সেলুনে ঢুকে।
ডাকাতি করতে যাবে, এমন সময়ে আচমকাই বছর ২৮-এর তরুণী মালকিন ওলগা জাজাকের একটা লাথি শূন্যে উড়ে এসে লাগে ভিক্টরের গায়ে। ছিটকে পড়তেই শুরু হয় ক্যারাটের প্যাঁচ পয়জার। যার কোপে নিমেষে প্রায় অচেতন অবস্থা হয় নতুন নতুন ডাকাতি করতে শেখা ভিক্টরের। প্রায় অচেতন অবস্থায় পৌঁছে যাওয়া ভিক্টর বুঝতে পারে তাকে টানতে টানতে সেলুনের পিছনের ঘরে নিয়ে যাচ্ছে ওলগা। পিছনের ঘরে ঢুকিয়ে ভিক্টরকে তার দিয়ে বেঁধে দেয় ক্যারাটেতে ব্ল্যাকবেল্ট ওই তরুণী সেলুন মালিক। তারপর শরীর থেকে এক এক করে খুলে নেয় সব পোশাক।
নগ্ন অবস্থায় ভিক্টরকে ভায়াগ্রা ট্যাবলেট খাওয়ায় ২৮ বছরের তরুণী ওলগা। এরপর জোর করে ভিক্টরের সঙ্গে যৌন মিলন করে সে। যৌন দাসে পরিণত করা ভিক্টরকে এরপর ভায়াগ্রা খাইয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে যৌন মিলন করে ওলগা। ৩ দিন টানা ভিক্টরের ওপর যৌন নির্যাতন চালানোর পর অবশেষে তাকে মুক্ত করে দেয় সে। তবে খালি হাত ফেরায়নি। ভিক্টরের হাতে ১ হাজার রুবল, একটা নতুন জিনসের প্যান্ট উপহার হিসাবে ধরিয়ে দেয় ওলগা জাজাক।
ওলগার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে ভিক্টর হাউ হাউ করে কাঁদতে কাঁদতে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে সব খুলে বলে। পুলিশ তার অভিযোগের ভিত্তিতে ওলগাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওলগা স্বীকার করে নেয় সে ভিক্টরকে ভায়াগ্রা খাইয়ে বেঁধে রেখে একাধিকবার যৌন মিলন করেছে। উচিত শিক্ষা দিতেই ভিক্টরকে ৩ দিন ধরে যৌন দাসে পরিণত করেছিল বলে মেনে নেয় ওলগা। আক্ষেপের সুরেই জানায়, ভিক্টরকে সে খাইয়েছে, জিনস কিনে দিয়েছে, টাকা দিয়েছে, তারপরও সে পুলিশের কাছে এসে সব বলবে তা ভাবতেও পারেনি। ওলগা ও ভিক্টর দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পৃথক অভিযোগে।