আবহাওয়া মোটেও ভাল ছিল না। বজ্রপাত হচ্ছিল। তারমধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছতে ৭৩ জন যাত্রী ও ৫ জন বিমানকর্মীকে নিয়ে আকাশে ওড়ে বিমানটি। স্থানীয় সময় মেনে ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধে ৬টা বেজে ২ মিনিট। আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কিন্তু বিমানটি খারাপ আবহাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় ফের বিমানবন্দর ফিরে আসার। কিন্তু আবহাওয়া এতটাই খারাপ ছিল যে তাদের সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কনট্রোল-এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এই অবস্থায় কার্যত মস্কোর সেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে রাশিয়ার বিমান সংস্থা অ্যারোফ্লোটের বিমানটি। কিন্তু জরুরি অবতরণের পরই বিমানের পিছনের অংশে আগুন লেগে যায়। ফুয়েল ট্যাঙ্ক ভর্তি ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একটি আগুনের গোলার মত রানওয়ে দিয়ে ছুটে দাঁড়িয়ে পড়ে বিমানটি।
ঘটনার পর বিমানে থাকা বিমান কর্মীদের চেষ্টায় বেশ কয়েকজনকে বার করে আনা হয়। তবে ৪১ জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। যারমধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে। বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বিমানটি মুরমাঙ্কস শহরের দিকে যাচ্ছিল। সেখানকারই অধিকাংশ যাত্রী ছিলেন বিমানে। এই ঘটনার পর আর্কটিক সার্কেলে অবস্থিত ওই শহরে শোকের ছায়া নেমে আসে। সেখানে ৩ দিনের শোক দিবস ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। নিহতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার সন্ধেয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা