২০২০ সালে রয়েছে টোকিও অলিম্পিকস। ২০২২ সালে রয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপ। এছাড়া আন্তর্জাতিক স্তরের অনেক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা রয়েছে। বিভিন্ন খেলাতেই রাশিয়া একটা শক্তিশালী প্রতিযোগী দেশ। কিন্তু আগামী ৪ বছর তারা কোনও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেনা। রাশিয়াকে ৪ বছরের জন্য নির্বাসিত করল ওয়াডা বা বিশ্ব ডোপিং বিরোধী সংস্থা। এটা পুতিনের দেশের জন্য একটা বড় ধাক্কা বলে মেনে নিচ্ছেন সকলেই।
অলিম্পিকসের পদক তালিকায় রাশিয়া উপরের দিকেই থাকে। বিশেষত অ্যাথলেটিক্সে। সেখানে এবার রাশিয়াকে টোকিও অলিম্পিকসে দেখতেই পাওয়া যাবে না। তবে রাশিয়ার অ্যাথলিটরা যাঁরা নিজেদের প্রমাণ করতে পারবেন যে তাঁরা ডোপিংয়ে যুক্ত নন, তাঁরা নিউট্রাল ফ্ল্যাগ নিয়ে অংশ নিতে পারবেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তারা ডোপিং সংক্রান্ত তথ্য ওয়াডা-র কাছে গোপন করেছে। তথ্য বিকৃত করেছে। ভুয়ো তথ্য পেশ করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাশিয়া ল্যাবরেটরির যে ডোপিং সংক্রান্ত তথ্য ওয়াডার কাছে পেশ করে তা বানানো হয়েছিল বলে প্রমাণ মিলেছে।
এই নির্বাসনের সিদ্ধান্ত এদিন প্যারিসে ওয়াডার বৈঠকে গৃহীত হয়। এখন রাশিয়া আগামী ২১ দিনের মধ্যে এই নির্বাসনের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি কোর্ট অফ আরবিট্রেশন অফ স্পোর্টস বা ক্যাস-এর কাছে চলে যাবে। এদিকে ওয়াডা-র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার বিরুদ্ধে ৪ বছরের নির্বাসনে খুশি নন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে রাশিয়াকে আর কোনও দিনই খেলতে না দেওয়ার পক্ষে। এদিকে ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নিতে না পারলেও এই নির্বাসনের পরও রাশিয়া ২০২০ সালের ইউরো কাপে অংশ নিতে পারবে। কারণ ইউরো কাপকে বিশ্বের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতার আসর বলে গণ্য করা হয়না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা