প্রথমে শিকারকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে অচেতন করে তারপর তার দেহ থেকে ছাল ছাড়িয়ে নিত তারা। তারপর দেহ টুকরো করে যতটা খেতে পারত খেত। বাকিটা ফ্রিজে বরফে রেখে দিত বা নুন জলে চুবিয়ে রাখত। যা আবার পরে খিদে পেলে খেত। এসব কথা কেউ জানতেও পারত না যদি না একটি মোবাইল ফোন পুলিশের হাতে পড়ত। রাশিয়ার ক্রাসনোদার শহরে ওই ভাঙা মোবাইলের সূত্র ধরেই অবশেষে নরখাদক সন্দেহে দিমিত্রি বাকসিভ ও তার স্ত্রী নাতালিয়া বাকসিভাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দম্পতির বাড়ির ফ্রিজ থেকে মানুষের বরফ জমা মাংস ও নুন জলে ডোবানো মানুষের মাংস উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশের সন্দেহ বেশকিছু বছর ধরে এই কাণ্ড চালাচ্ছিল তারা। ইতিমধ্যেই ৩০ জন তাদের শিকার হয়েছে বলে অনুমান করছে পুলিশ। কারণ ওই শহরের ৩০ জন আচমকাই ভ্যানিস হয়ে যান। তারপর থেকে তাঁদের কোনও খোঁজ মেলেনি। মোবাইলটি হাতে পাওয়ার পর তাতে বেশ কিছু ছবি পাওয়া যায়। যেখানে ওই দম্পতিকে মানুষের মাংস খেতে দেখা যাচ্ছে। তারপরই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।