কেবলমাত্র দেশবাসীর জন্য টিকা উৎপাদন শুরু করছে রাশিয়া
রাশিয়া ইতিমধ্যেই দাবি করেছে তারা বিশ্বের প্রথম করোনা প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার করেছে। এবার শুরু হচ্ছে তার উৎপাদন।
মস্কো : টিকা তৈরি করেছে তারা। সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং কার্যকরী। এমনই দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। টিকাটি কতটা সুরক্ষিত তার স্বাক্ষর হিসাবে সেই টিকা দেওয়া হয়েছে পুতিনের এক কন্যাকেও। এবার রাশিয়া তাদের সেই টিকার উৎপাদন শুরু করতে চলেছে। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ২ সপ্তাহের মধ্যেই এই টিকার উৎপাদন শুরু করে দেবেন তাঁরা। আপাতত টিকার পুরো উৎপাদন কাজে লাগানো হবে কেবলমাত্র তাঁদের দেশবাসীর জন্য।
কোনও দেশ যদি চায় এই টিকা তাহলেও এখন তাদের দেওয়া যাবে না এই টিকা বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন এই টিকা আপাতত কেবলমাত্র তাঁর দেশের মানুষের জন্য তৈরি করা হবে। পুরো দেশবাসীর জন্য উৎপাদন সম্পূর্ণ হলে তারপরই অন্য দেশ চাইলে তাদের টিকা যোগান দেওয়া সম্ভব হবে। রাশিয়া স্পষ্ট করে দিয়েছে আপাতত রাশিয়ার মানুষ এই টিকা পাবেন।
রাশিয়ার তৈরি ‘স্পুটনিক ভি’ টিকা এখনও তার ট্রায়ালের তৃতীয় বা সবচেয়ে কঠিন স্তর অতিক্রম করেনি। তার আগেই রাশিয়া কিন্তু তার উৎপাদন শুরু করে দিচ্ছে। রাশিয়া যেহেতু এখনও তাদের ট্রায়ালের তৃতীয় স্তর অতিক্রম না করেই টিকা উৎপাদনে জোর দিচ্ছে তাই তা নিয়ে কিছুটা হলেও সন্দিহান অনেক দেশ। অনেক দেশই বলছে হু না বলা পর্যন্ত তারা এই টিকা রাশিয়া থেকে নেওয়া নিয়ে ভাবছে না।
ভারতে এই টিকার ব্যবহার হবে কিনা বা ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এই টিকা নেবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই কমিটি ভারত সরকার তৈরিই করেছে টিকা সম্বন্ধীয় যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য। ফলে তাদের ওপরই বর্তাচ্ছে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব।
ভারত যেমন রাশিয়ার টিকা নিয়ে সরাসরি সন্দেহের রাস্তায় হাঁটেনি, তেমনই তারা নেবে এমনটাও জানায়নি। প্রসঙ্গত ভারতে অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল অনুমতি পেয়েছে। সেরাম ইন্সটিটিউট এই টিকা উৎপাদনও করতে পারবে। ভারতের নিজস্ব টিকা তৈরিও জোর কদমে এগোচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা