এবার সাফল্যের পথে রাশিয়ার দ্বিতীয় টিকা
রাশিয়া করোনা প্রতিষেধক স্পুটনিক ভি তৈরি করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এবার তারা তাদের দ্বিতীয় টিকাও সফল করতে চলেছে।
মস্কো : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সদর্পে ঘোষণা করেছেন তাঁর দেশই বিশ্বকে প্রথম করোনা প্রতিষেধক টিকা দিয়েছে। সেই স্পুটনিক ভি টিকার উৎপাদনও শুরু হয়ে গেছে। এই টিকার পাশাপাশি রাশিয়ার ভেক্টর স্টেট রিসার্চ সেন্টার ফর ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি তাদের করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। যার মানব দেহে ট্রায়ালও শুরু হয়েছে। আর তা মানব দেহে ইতিমধ্যেই ভাল ফল দিতে শুরু করেছে। ফলে রাশিয়ার দ্বিতীয় টিকাটিও সাফল্যের পথে হাঁটা শুরু করে দিল।
৫৭ জনের দেহে এই দ্বিতীয় করোনা প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে তার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। বরং তা কাজ করছে। এদিকে রাশিয়াই প্রথম দেশ যারা কোনও করোনা প্রতিষেধক টিকাকে সরকারিভাবে মান্যতা দিয়েছে। সেটি স্পুটনিক ভি। যদিও তার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এখনও হয়নি। রাশিয়া জানিয়েছে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এবং কার্যকরী স্পুটনিক ভি এবার ৪০ হাজার মানুষের দেহে দেওয়া হবে।
রাশিয়ার তৈরি ‘স্পুটনিক ভি’ টিকা এখনও তার ট্রায়ালের তৃতীয় বা সবচেয়ে কঠিন স্তর অতিক্রম করেনি। তার আগেই রাশিয়া কিন্তু তার উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে। রাশিয়ার যেহেতু এখনও তাদের ট্রায়ালের তৃতীয় স্তর অতিক্রম না করেই টিকা উৎপাদনে জোর দিচ্ছে তাই তা নিয়ে কিছুটা হলেও সন্দিহান অনেক দেশ। অনেক দেশই বলছে হু না বলা পর্যন্ত তারা এই টিকা রাশিয়া থেকে নেওয়া নিয়ে ভাবছে না।
ভারতে এই টিকার ব্যবহার হবে কিনা বা তারা রাশিয়ার কাছ থেকে এই টিকা নেবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই কমিটি ভারত সরকার তৈরিই করেছে টিকা সম্বন্ধীয় যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য। ফলে তাদের ওপরই বর্তাচ্ছে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব।
ভারত যেমন রাশিয়ার টিকা নিয়ে সরাসরি সন্দেহের রাস্তায় হাঁটেনি, তেমনই তারা নেবে এমনটাও জানায়নি। তবে রাশিয়া ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্পুটনিক ভি উৎপাদন করতে চাইছে বলে খবর। প্রসঙ্গত ভারতই হল এমন একটি দেশ যারা বিশ্বের ৬০ শতাংশ টিকা উৎপাদন করে থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা