করোনার টিকা নিতে নাম লেখালেন ৬০ হাজার জন, ৭০০ জনকে দেওয়া সম্পূর্ণ
করোনার টিকা নিতে আগ্রহী হিসাবে নাম লেখালেন ৬০ হাজার মানুষ। এঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৭০০ জনকে তা দেওয়াও হয়ে গেছে।
মস্কো : অগাস্টেই সরকারের তরফে পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছিল করোনা টিকা মান্যতা পেয়েছে। ফলে তার বিপুল পরিমাণে উৎপাদন শুরু করা হচ্ছে। সেইমত এগোয় উৎপাদন।
সেপ্টেম্বরে সেই টিকা দিয়েও দেওয়া হল ৭০০ জনকে। তবে এঁরা সকলেই টিকা পেলেন ট্রায়ালের অংশ হিসাবে। অর্থাৎ এঁদের টিকাকরণ পরীক্ষার অংশ। কিন্তু সেই পরীক্ষার অংশ হিসাবেই টিকা গ্রহণে আগ্রহ দেখিয়েছেন ৬০ হাজার মানুষ। তাঁরা নাম নথিভুক্ত করেছেন।
রাশিয়াই প্রথম দেশ যারা ঘোষণা করেছে তারা করোনার টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। সেই স্পুটনিক ভি টিকা সরকারিভাবে নথিভুক্তও হয়েছে।
তারপরই রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন মান্যতা পেয়ে গেছে স্পুটনিক ভি। এবার তার বিপুল পরিমাণ উৎপাদনে জোর দেওয়া হবে। সেই মত উৎপাদনও শুরু করে রাশিয়া।
সেপ্টেম্বরে সেই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগও বৃহত্তরভাবে শুরু করে দিল তারা।
দেশের ৬০ হাজার মানুষ এই টিকা পরীক্ষামূলক অবস্থায় নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে নাম নথিভুক্ত করার পর এখন তাঁদের এক এক করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। টিকা গ্রহণে সক্ষম বলে প্রমাণিত হলেই তাঁকে দেওয়া হচ্ছে টিকা।
এমন করে ইতিমধ্যেই ৭০০ জনকে টিকাকরণ হয়ে গেছে। রাশিয়ার দাবি তাঁরা সকলেই সুস্থ আছেন। কোনও সমস্যা নেই।
রাশিয়ার টিকাটি তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের আগেই মান্যতা পায় অগাস্টে। তারপর ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে রাশিয়া। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল না করেই টিকাকে মান্যতা দেওয়া আদৌ সঠিক পদক্ষেপ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
পুতিন সরকারের আরও সমস্যা বাড়ে যখন স্পুটনিকের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে কয়েকজন অসুস্থ হন। যদিও সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় শারীরিক যে প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে তা স্বাভাবিক। এমনটা হতেই পারে। এজন্য ভয়ের কিছু নেই।
রাশিয়া তাদের দেশে ট্রায়াল পর্যায়ে স্পুটনিক দিতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তারা ভারতের ডক্টর রেড্ডিজ সংস্থার সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে। রেড্ডিজ-এর সহযোগিতায় ট্রায়াল আরও বৃহত্তরভাবে করতে চলেছে রাশিয়া। এজন্য রেড্ডিজকে ১০ কোটি স্পুটনিক ভি টিকার কোর্স দিতে চলেছে রাশিয়া। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা