স্কুলে ঢুকে গুলি, রক্তের হোলি খেলল ১৭ বছরের কিশোর
স্কুলে ঢুকে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করল এক ১৭ বছরের কিশোর। এমন এক ভয়ংকর ঘটনা স্কুল জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে।
স্কুল চলছিল অন্যান্য দিনের মতই। করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে সবে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে শহরটা। স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা আসছিল নিয়ম মেনে। হচ্ছিল ক্লাসও।
মঙ্গলবার সকালেও একইভাবে ক্লাস শুরু হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় সেই পঠনপাঠনের শান্ত পরিবেশ হঠাৎ আতঙ্কে ভরে ওঠে।
পড়ুয়ারা আর্তনাদ করতে থাকে। স্কুলের শিক্ষক থেকে কর্মচারিরা ছোটাছুটি শুরু করে দেন। এদিকে ১৭ বছরের ছেলেটার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। সে গুলি চালিয়েই চলেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ছেলেটি স্কুলে ঢুকেই প্রথমে একটি বিস্ফোরণ ঘটায়। তারপর নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। তার গুলিতে ১০ জন ছাত্র ও ১ শিক্ষকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। গুলিতে আহত হয়েছেন ৩২ জন। ২ ছাত্র আতঙ্কে স্কুলের জানালা থেকে লাফ দেওয়ায় তাদের মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে রাশিয়ার কাজান শহরের ১৭৫ নম্বর স্কুলে। ১৭ বছরের ওই বন্দুকবাজ কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেন সে এমন করল তা জানার চেষ্টা চলছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন এই ঘটনার পর দেশের বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে এই ঘটনার পর কাজান শহরের সব স্কুলে সুরক্ষা বাড়ানো হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা