অপূর্ব দেখতে এই ঝিলের ধারে মানুষকে ঘেঁষতেও দেওয়া হয়না
দূর থেকে এ হ্রদটি দেখলে বেশ সুন্দর লাগবে। জলে নানা রং খেলা করে। কিন্তু এ ঝিলের ধারেকাছে কারও ঘেঁষা মানা।
খুব বড় নয়। ছোট ঝিল বলাই ভাল। ১ বর্গমাইল জুড়ে এই ঝিলের দিকে দূর থেকে দেখলে বেশ লাগে। ঝিলের জলে নানা রং খেলা করে। কিন্তু এ ঝিলের ধারেকাছে এখনও কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়না। কেন ঘেঁষতে দেওয়া হয়না? কি আছে ওই ঝিলে? এটা জানতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে কম করে ৬৭ বছর আগে।
১৯৩৪ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত এই ঝিলের পাশেই ছিল একটি লুকোনো পরমাণু কেন্দ্র। সেখানে যে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য তৈরি হত তা এনে ফেলা হত এই ঝিলের জলে। ফলে জলে ক্রমশ তেজস্ক্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
প্রায় ২৪ বছর ধরে এই তেজস্ক্রিয়তা জলের সঙ্গে মিশতে মিশতে ওই ঝিলের জল দূষিতের চরম সীমায় পৌঁছে যায়। এই জল ছোঁয়া মানে ওই তেজস্ক্রিয়তাকে স্পর্শ করা। যা যে কোনও মানুষের জন্যই ভয়ংকর।
রাশিয়ার ইউরাল হাইল্যান্ডের এই ঝিলের নাম করাচে ঝিল। যার ধারেকাছে এখনও কোনও মানুষকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়না। বহু বছর হল সে জলে আর তেজস্ক্রিয়তা মেশে না। কিন্তু আগেই যা মিশেছে তার প্রভাব এখনও মানুষের পক্ষে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।
তাই এই জল প্রকৃতির বুকে একাকী পড়ে থাকে। তাকে দূর থেকে দেখা যায়। কিন্তু তাকে স্পর্শ করা যায়না। রাশিয়ার এই ঝিলকেই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ঝিল বলা হয়।