অদ্ভুত জায়গা, এখানকার সকল বাসিন্দা দড়ির ওপর হাঁটেন
অদ্ভুত বললেও বোধহয় কম বলা হয়। জায়গাটা পাহাড়ি। এখানকার প্রতিটি বাসিন্দা একটি কঠিন কাজে পটু। আর তা হল দড়ির ওপর হাঁটা।

সার্কাস দেখতে গেলে দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটার খেলা দেখতে পাওয়া যায়। বোঝাই যায় দীর্ঘদিনের অনুশীলনের ফলে তা রপ্ত করেছেন শিল্পী। দড়ির ওপর হাঁটা অভ্যাস করে তাতে দক্ষতা তৈরি করতে কেউ কেউ পছন্দ করেন। কিন্তু একটি জায়গা রয়েছে যেখানে জন্মানো মানেই তাকে দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটতে হবে।
এখানে ছোটরাও জানে তারা একটু বড় হলেই তাদের দড়ির ওপর হাঁটতে বলা হবে। এখানকার প্রতিটি বাসিন্দা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দড়ির ওপর হাঁটেন। সেটা কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে নয়। এটাই একটা প্রচলিত প্রথা।
কেন এমন প্রথা? কবে শুরু হয়েছিল এ প্রথা? রাশিয়ার ককেশাস পর্বতে এক জনজাতি থাকে। সোকরা ১ নামে একটি গ্রামে তাদের বসবাস।
এদের সন্তানরা যখন স্কুলে যায় তখন স্কুলে অন্য পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের দড়ির ওপর হাঁটার কসরত অনুশীলন করানো হয়। যাতে তারা ক্রমে পটু হয়ে উঠতে পারে।
কেন এই প্রথা চালু হয়েছিল তা নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়না। তবে মনে করা হয় শতাধিক বছর আগে থেকে এই প্রথা এখানে চালু হয়েছে। যা আজও এ গ্রামের সকলে মেনে চলেন।
এ গ্রামের মানুষ দড়িতে হাঁটায় এতটাই দক্ষ যে এ গ্রাম থেকে অনেকেই সার্কাসে কাজ করার ডাক পেয়ে যান। পাহাড়ি অঞ্চলে তাঁরা এভাবেই দড়ির ওপর হেঁটে চলেন।