কোন দেশের মহাকাশচারীরা বন্দুক নিয়ে মহাকাশে যান
মহাকাশে বন্দুক নিয়ে যান তাঁরা। আর এই বন্দুক নিয়ে যাওয়ার পিছনে কারণও আছে। যদিও তা অন্য দেশের তরফে সমালোচিতও হয়েছে।
মহাকাশে মহাকাশচারীরা যান গবেষণার কাজে। মহাকাশকে চিনতে। সেখানে বন্দুকের কি কাজ? এ প্রশ্ন ওঠায় কোনও ভুল নেই। সেখানে জন্তুজানোয়ারও নেই। আবার কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ঘুরে বেড়ানো মানুষও নেই। যে আত্মরক্ষার প্রয়োজন আছে।
তবু রাশিয়ার মহাকাশচারীদের সঙ্গে বন্দুক থাকা অনেককে অবাক করেছে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্য যে কোনও দেশ যদি তাদের মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠায় তবে তাঁদের সঙ্গে বন্দুক দেয়না। রাশিয়ার মহাকাশচারীরা কেন তাহলে বন্দুক সঙ্গে রাখেন? এর পিছনে কিন্তু বিশেষ কারণ আছে।
১৯৬৫ সালে ২ রাশিয়ান মহাকাশচারী মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফেরার সময় তাঁরা যে নির্দিষ্ট স্থানে অবতরণ করার কথা ছিল তার থেকে অনেকটা দূরে নামেন। তাঁরা গিয়ে পড়েন সাইবেরিয়ার একটি জঙ্গলে।
সাইবেরিয়ায় যেমন ভয়ংকর ঠান্ডা, তেমনই ভাল্লুক আর শেয়ালের ভয়। সাইবেরিয়ার ভাল্লুকরা অতিকায় চেহারার হয়। এই ২ প্রাণিই হিংস্র। এদিকে সাইবেরিয়ার কোনও প্রত্যন্ত বরফাবৃত জায়গা থেকে মহাকাশচারীদের উদ্ধারে একাধিক দিন লেগে যেত।
সেই সময় তাঁরা যাতে হিংস্র প্রাণি থেকে আত্মরক্ষা করতে পারেন, সেজন্য তাঁদের মহাকাশে যাওয়ার সময়ই বন্দুক দিয়ে দেওয়া হত। এই বন্দুকগুলি থেকে আগুনের শিখাও বার হত। যা তাঁদের অবস্থান বুঝতে সাহায্য করত।
এখন অবশ্য রাশিয়ার মহাকাশচারীদের সঙ্গে বন্দুক থাকবে কিনা তা সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। তাঁরা যে মহাকাশে গেলে বন্দুক পাবেনই তার নিশ্চয়তা নেই। যেমনটা একটা সময় ছিল।
তবে থাকবেনা এমন নিষেধাজ্ঞাও নেই। মহাকাশচারীদের কাছে বন্দুক থাকবে কিনা তা রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্থির করে। এখন যেহেতু প্রযুক্তি অনেকটা উন্নত তাই বন্দুক দেওয়াটা ভেবে দেখা হয়।