পৃথিবীর শীতলতম জনবসতি, মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতে ভিড় জমে পর্যটকদেরও
মানুষ বাসস্থানের জন্য অনেক কিছুই সহ্য করতে পারে। যেমন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দিব্যি স্বাভাবিক থাকে এখানকার জনজীবন। আবার শীত দেখতে হাজির হন পর্যটকরাও।
যেমন স্কুল, কলেজ, কাজকর্ম চলা উচিত তেমনই স্বাভাবিক থাকে জনজীবন। সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন দিনভর। তারপর ছুটি হলে বাড়িতে আসেন। বাজারহাট করেন। বিনোদনে সময় দেন। একে অপরের সঙ্গে আলাপচারিতা, আড্ডা, গল্প সবই করেন।
আর এসবই করেন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। যেখানে অ্যালকোহলও জমে যায়। পৃথিবীর এই অঞ্চলই হল স্থায়ী জনবসতির শীতলতম স্থান। যেখানকার মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে জীবন কাটাচ্ছেন এই ঠান্ডার মধ্যেই।
তাঁদের অন্য পেশার পাশাপাশি একটি বড় রোজগার হল পর্যটন। কারণ শীতে এখানে পারদ মাইনাস ৫০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৭০ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করে।
এমন ঠান্ডা কেমন হয়, তা পরখ করে দেখতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ হাজির হন এখানে। ফলে পর্যটন এখানকার মানুষের একটা বড় অর্থ রোজগারের রাস্তা।
পৃথিবীর শীতলতম জনবসতিটি রয়েছে রাশিয়ার উত্তর পূর্বে সাইবেরিয়ার অয়মিয়াকন উপত্যকায়। অয়মিয়াকন হল পৃথিবীর শীতলতম স্থায়ী জনবসতি এলাকা। যেখানে কমপক্ষে ৫০০ জন সাইবেরিয়ান জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন।
ভাবনার অতীত ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করেই তাঁদের জীবন কাটে। ফলে মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতেও তাঁরা তাঁদের জনজীবন স্বাভাবিক রাখেন। গ্রীষ্মে অবশ্য উষ্ণতা বাড়ে এ জায়গার। তুলনায় তখন বেশ গরম। পারদ মাইনাস ১০ ডিগ্রির নিচে নামে না জুন, জুলাই মাসে।
এই আবহাওয়ার সঙ্গে থাকতে থাকতে নিজেদের মানিয়ে ফেলেছেন এখানকার মানুষ। এঁদের পোশাকও হয় দেখার মতন। কোথাও বসার দরকার পড়লে এঁরা সেখানেই বরফের চেয়ার বানিয়ে বসে পড়েন।