জঙ্গলের গাছগুলো নাচছে, স্থানীয়রা বলে মাতাল বন, বাস্তবেই রয়েছে এমন জঙ্গল
জঙ্গল কেমন হয় সে সম্বন্ধে ধারনা সকলের রয়েছে। কিন্তু একটা জঙ্গলের সব গাছ নাচছে এমন হয়না। কিন্তু বাস্তবেই এমন জঙ্গল রয়েছে।
জঙ্গল তো জঙ্গলই হয়। চারধারে শুধু গাছ আর গাছ। সবুজের ঘনঘটা। সে জঙ্গল যে নাচতে পারে তা তো অজানা। কিন্তু এ জঙ্গল নাচে। কেউ গোল হয়ে নাচে। কেউ অন্য ভঙ্গিমায় নাচে। কেউ এমনভাবে মোচড় দেয় যে অবাক হয়ে চেয়ে থাকতে হয়।
সকলে কিন্তু এক ভাবে নৃত্যরত নয়। বরং এ জঙ্গলের এক একটা গাছ এক এক রকম ভঙ্গিতে নাচছে। প্রধানত পাইন গাছের জঙ্গল এটি।
এক গুঁড়ির কাছটা এমনভাবেই নানা ভঙ্গিমায় বেঁকে টেরে রয়েছে। কারও গুঁড়ি বা কাণ্ড অন্যের ভঙ্গির সঙ্গে মেলে না। যেন গোটা জঙ্গলটা মাতালের মত নাচছে। যার যেমন খুশি নাচছে।
এই ডান্সিং ফরেস্ট বা নৃত্যরত জঙ্গল রয়েছে রাশিয়ার বাল্টিক সাগর ও কুরোনিয়ান লেগুনের মাঝখানে ক্রুগলায়া বালিয়াড়িতে। ১৯৬০ সালে এই বালিয়াড়িকে ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচাতে এখানে এই জঙ্গল তৈরি করা হয়। পাইন গাছ দিয়ে ভরে ফেলা হয় বিশাল এলাকা।
যে পাইন গাছেরা এখন বিশাল আকৃতি নিয়ে এক গহন জঙ্গলের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু গাছের গুঁড়িগুলি এমন বিভিন্ন ভঙ্গিমায় আঁকাবাঁকা হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা মনে করেন, বালিয়াড়ি বাঁচাতে এই বৃক্ষরোপণের পথ নেওয়া হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেই বালিয়াড়িই গাছগুলির গুঁড়ির এই অবস্থার জন্য দায়ী।
যদিও তা নিশ্চিত করে বলা যায়না। এখনও বিশেষজ্ঞেরাও এই ডান্সিং ফরেস্টের গাছের গুঁড়ির এমন নানা ভঙ্গিমায় টেরে বেঁকে ওঠার কারণ বুঝে উঠতে পারেননি। এ এখনও এক কিনারা না হওয়া রহস্য হয়ে রয়ে গেছে। যা মানুষকে অবাক করেই চলেছে।