Entertainment

শাড়ি বিতর্ক, সাফাই দিলেন সব্যসাচী

যাঁরা শাড়ি পরতে জানেন না, সেসব ভারতীয় নারীর লজ্জা পাওয়া উচিত। হার্ভার্ড ইন্ডিয়া সম্মেলনে দেশের অন্যতম সেরা ড্রেস ডিজাইনারের বিতর্কিত মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় মহিলা মহলে। সব্যসাচীর এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য নিয়ে গত ৩ দিন ধরে ঠাট্টা তামাশার রোল ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেইসব খোঁচা, সমালোচনা আর ঝাঁঝালো আক্রমণের সামনে কিছুটা ঘুরিয়েই নতি স্বীকার করলেন সব্যসাচী। কিছু সংখ্যক ভারতীয় নারীদের শাড়ি পরতে না জানার সাথে ‘লজ্জা’ শব্দকে জুড়ে দেওয়ায় ক্ষমা স্বীকার করতে হল তাঁকে। তবে সেই ক্ষমা স্বীকারের মধ্যে রয়ে গেল পরামর্শ ও সাফাইয়ের সুর। সব্যসাচীর দাবি, নারীর পোশাক নির্বাচনের বিষয়ে কখনই তিনি হস্তক্ষেপ করতে চাননি। সেদিনের সম্মেলনে ভারতীয় নারীদের পোশাকের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকেই শুধু তিনি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। সকলকে বোঝাতে চেয়েছিলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভারতীয় পোশাকের ঐতিহ্যকে।

শাড়ি পড়লে নাকি মেয়েদের ‘বয়স্ক’ লাগে। শাড়ি সম্পর্কে সমাজের কিছু সংখ্যক মানুষের ‘ট্যাবু’ ভাঙতে কি পরামর্শ দেবেন শাড়িপ্রেমী সব্যসাচী? শনিবারের সম্মেলনে পোশাক সজ্জায় দেশের প্রথম সারিতে উঠে আসা সব্যসাচীর দিকে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন এক ছাত্রী। শুধু গত শনিবারই নয়, বারবার প্রিয় পোশাক নিয়ে দেশের মানুষের অযৌক্তিক ‘ট্যাবু’-র অভিযোগ শুনতে হয়েছে তাঁকে। যা বিগত ১৬ বছর ধরে শাড়ি নিয়ে নানারকমভাবে কাজ করে চলা ডিজাইনারকে মর্মাহত করেছে। ভালোবাসার পোশাক সম্পর্কে কিছুসংখ্যক ভারতীয়ের এমন নেতিবাচক মনোভাব মন থেকে মানতে পারেননি সব্যসাচী। তাঁর দাবি, সেই হতাশা থেকেই গত শনিবার তিনি বিতর্কিত মন্তব্যটি করে বসেন। আর সেজন্য গত মঙ্গলবার খোলাখুলি ক্ষমাও চেয়ে নেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি, পোশাকের জগতে সব্যসাচীকে ব্র্যান্ড করে তোলায় ভারতীয় নারীদের অকুণ্ঠ প্রশংসা ও ধন্যবাদে ভরিয়ে তোলেন সব্যসাচী।


(ছবি – সৌজন্যে – ইন্সটাগ্রাম – সব্যসাচী অফিশিয়াল)


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button